জিয়া মেট্টিক পাস, স্ত্রী ফেল: প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টারঃ জিয়া মেট্টিক (এসএসসি) পাস আর তার স্ত্রী মেট্টিক ফেল এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনটির ১৯৭২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ -এর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানী শুনাগেছে। সম্পদ নয় শিক্ষা অর্জনই ছাত্রদের মূল কাজ। প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ছাত্রলীগ টিকে আছে।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সব সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকার রয়েছে। প্রতিটি অর্জনে ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষকে শিক্ষিত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে বিনামূল্যে বই দেয়া হচ্ছে। নতুন নতুন বিদ্যালয় ও কলেজ তৈরি করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে।
ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির ১৯৭২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যাদেরকে ক্রেস্ট দেওয়া হল–
১৯৭২-৭৩ সালের ছাত্রলীগ সভাপতি ও বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নেতা ইসমত কাদের গামা ক্রেস্ট নিয়েছেন। ১৯৭৭-৮১ ছাত্রলীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঞ্চে থাকলেও ক্রেস্ট নেননি। তাঁর কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাহলুল মজনুন চুন্নু অনুষ্ঠানে ছিলেন না।
১৯৮১-৮৩ সালের সভাপতি ও বর্তমান বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ক্রেস্ট নেন। একই কমিটির সাধরণ সম্পাদক খ ম জাহাঙ্গীরও ক্রেস্ট নেন।
১৮৮৩-৮৫ সালের সভাপতি আব্দুল মান্নান, একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ক্রেস্ট নেন।
১৯৮৬-৮৮ সালের সভাপতি সুলতান মো. মনসুর আহম্মেদ অনুষ্ঠানে ছিলেন। তবে তাঁর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ক্রেস্ট নেন।
১৯৮৮-৯২ সালের সভাপতি শাহে আলম ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ১৯৯২-৯৪ সালের সভাপতি মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইকবালুর রহিম, ১৯৯৪-৯৮ সালের এ কে এম এনামুল হক শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না।
১৯৯৮-২০০২ সালের ছাত্রলীগের সভাপতি বাহাদুর বেপারী, সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, ২০০২-০৬ সালের লিয়াকত শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু।
২০০৬-১১ কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার রোটন, ২০১১-১৫ কমিটির সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ক্রেস্ট নেন। তবে তাঁর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম উপস্থিত ছিলেন না অনুষ্ঠানে।