সব

একজন ব্যতিক্রম পুলিশ অফিসার হাবিবুর রহমান

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Friday 17th March 2017at 6:29 pm
FILED AS: মতামত
82 Views

3

মোঃ আমিনুল ইসলাম খানঃ পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরুপ ধারনা থাকলেও এ্যাডিশনাল ডিআইজি (সংস্থাপন) জনাব হাবিবুর রহমান (Habibur Rahman) বিপিএম (বার), পিপিএম ধারনা সম্পুর্নই বদলে দিয়েছেন। জনাব হাবিবুর রহমান একজন ব্যতিক্রম পুলিশ অফিসার। সহকর্মি এবং সাধারন জনগনের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়তই। “পুলিশ জনগনের বন্ধু” তিনি বাক্যটির জীবিত নিদের্শন। তিনি অন্যতম একজন আদর্শ পুলিশ অফিসার যিনি কিনা বাংলাদেশে আধুনিকতা, প্রযুক্তি, সততা এবং আবেগ দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করেন। এ্যাডিশনাল ডিআইজি হাবিবুর রহমান স্যার সাভারবাসীর জন্য একজন আদর্শ। ম্যান ফর ম্যান, মানুষ মানুষের জন্য। মাত্র একজন মানুষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বদলে যেতে পারে কোন অবহেলিত জনপদের জীবনযাত্রা। ঘুরে দাঁড়াতে পারে যুব ও তরুণ সমাজ। মহিলারা হতে পারেন সাবলম্বী। ইচ্ছা থাকলে যুগ যুগ ধরে অবহেলিত হলেও নিজ প্রচেষ্টায় কর্মক্ষম মানুষ গাইতে পারে জীবনের জয়গান। এ চিত্র সাভার বেদেপল্লীর। ঝাড়ফুঁক, সিংগা লাগানো, দাঁতের পোকা ফেলা, সাপ পালন ও বিক্রি এবং মাদক ব্যবসা যে এলাকার চিরচেনা রুপ ছিল সেই বেদেপল্লীতে দিন বদলের ছোয়া লেগেছে। থেমে গেছে নিজেদের মধ্যকার বিবাদ। বন্ধ হয়েছে বহুবিবাহ। জীবনমান বদলে যাওয়ায় ওই এলাকায় ঘরে ঘরে এখন কর্মক্ষম মানুষ। একসময়ের অলস মানুষগুলোর এখন কর্মব্যস্ত জীবন। যুগ যুগ ধরে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত বেদেপল্লীর চালচিত্র বদলে দেয়ার অসাধ্যকে সাধন করেছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

কোন সাধারন মানুষ থানায় গিয়ে পুলিশের সাথে গল্প করছে, চা খাচ্ছে এটা কি কল্পনা করতে পারা যায়?

যেখানে একটি জিডি লিখতে কত হয়রানির শিকার হতে হত। সেখানে তিনি এই ভিন্ন চিত্র স্থাপন করেছেন যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। উনার এলাকায় যে কেউ যেকোন সমস্যা নিয়ে সরাসরি দেখা করতে পারেন। আবারও বলতে হবে “পুলিশ জনগনের বন্ধু” পুলিশ অফিসার হাবিবুর রহমান বাক্যটির জীবিত নিদের্শন। পুলিশের আইকন হাবিবুর রহমান স্যার প্রায়ই বলেন, পুলিশ জনগনের শুধু বন্ধুই নয়-সেবকও। পুলিশ সব সময়ই জনগনের বন্ধু হিসেবে জনগনের পাশে ছিল আগামীতেও থাকবে। জনগনের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের পক্ষে ব্যাপক জনগোষ্টির সেবা দেয়া সম্ভব নয়। জনগনকে সেবা পেতে হলে পুলিশিং কার্যক্রমে এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। জীবন সংগ্রামকে সঠিক ভাবে উপলব্ধি করার জন্য প্রয়োজন সঠিক মানুষের। যে দিন এই বাংলাদেশের প্রতিটা থানায় একজন করে এস.পি. হাবিবুর রহমান স্যারের মত সৎ পুলিশ অফিসার থাকবেন সেদিনই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে নিরাপদ, সুন্দর এবং শান্তির দেশ।

জনাব হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম ১৭তম বিসিএস ক্যাডার হিসেবে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি চট্টগ্রামের বাশখালীতে শিক্ষনবীশ সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে হাতেকলমে পুলিশি কাজ শুরু করেন। সফলভাবে শিক্ষনবীশকাল সমাপ্তির পর তিনি ২০০০ সালে রাজারবাগে সহকারী পুলিশ কমিশনার (সরবরাহ) এর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে এই পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয় ভোলার সার্কেল এ এস পি হিসেবে।

পেশাগত দায়িত্ব পালনে কর্তব্য অবহেলা না করার কারনে এই সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা নোংরা রাজনীতির বিরাগভাজন হতে শুরু করেন । কিন্তু সর্বদা আপোষহীন থেকেছেন , পরিচয় দিয়েছেন সততা, নিষ্ঠা ও যোগ্যতার।

২০০৮ সালে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে দায়িত্ব পালন করে। সেখান থেকে ফিরে এসে ২০০৯ এ ঢাকা মেট্রোপলিটন এর উপ – পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) হন । এখান থেকে সুত্রপাত হয় সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মনের মধ্যে প্রবেশের ।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা যে পেশগত দায়িত্বের বাহিরেও অসংখ্য কাজে নিজের অদম্য প্রত্যয় দিয়ে যুক্ত হতে পারেন সেটি তিনি সন্দেহাতীতভাবে প্রমান করেছেন। ২০১১ তে তিনি ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পান এবং গত ৪ বছরে তিনি যে অবদান রেখেছেন তা ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রসংশা কুড়িয়েছে । ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার এর দায়িত্বপালনকালীন সময়েই তিনি উক্ত এডিশনাল ডিআইজি হিসেবে প্রমোশন পেলেন।

তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সবোর্চ্চ সম্মাননা ‘বিপিএম পদক’ এবং আরেক সম্মানসুচক “পিপিএম পদক” লাভ করেন। এই। মহতি পুলিশ কর্মকর্তা আমৃত্যু মানুষের সেবায় নিযুক্ত থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

 

 


সর্বশেষ খবর