একনেক সভায় ৩ হাজার ২৮৯কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন
ডেস্ক রিপোর্টঃ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় ৩ হাজার ২৮৯ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৮টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে । এর মধ্যে জিওবি ২হাজার ৪১২ কোটি ৪৪ লক্ষ্ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৩৪ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৮৪২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ।
আজ ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয় ।একনেক সদস্যবৃন্দ,সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ , প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক, এবং সংশ্লিষ্ট সিনিয়র সচিব ও সচিববৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ।
পরিকল্পনা মন্ত্রী একনেক সভা শেষে সভার বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানান । তিনি বলেন, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন হার শতকরা ৪৫ ভাগ এবং বাস্তবায়িত প্রকল্পের টাকার পরিমান ৫৩ হাজার ৮শত ৬৪ কোটি টাকা । গত অর্থ বছরে মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের এ হার ছিল শতকরা ৪৪ভাগ এবং ু বাস্তবায়িত প্রকল্পের টাকার পরিমান ছিল ৪১হাজার ৯ শত ৭৫ কোটি টাকা । অর্থাৎ এ বছর মার্চ পর্যন্ত গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা বেশী ব্যয় হয়েছে । সুষম বাস্তবায়ণ ত্বরান্বিত করাই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য । লক্ষ্য বাস্তবায়নে পরিকল্পনা কমিশন থেকে যে পরিমান সংস্কার করার প্রয়োজন তা হয়েছে । তিনি বলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে প্রয়োজনে আরো সংস্কার আনা হবে । তিনি জানান ,প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে নির্মাণাধীন আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে ভবনের উপরে রিজার্ভার , বৈদ্যূতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সোলার স্থাপন এবং ভবন গুলোতে জরুরী কাগজপত্র সংরক্ষণের জন্য নিরাপদ স্টোর রুমের ব্যবস্থা রাখার জন্য ইতোপূর্বে দেয়া নির্দেশনা তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন । প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের আবাসিক সংকট নিরসণে দেশের বিভাগ, জেলা , উপজেলাসহ প্রয়োজনীয় সকল স্থানে পুলিশ ব্যারাক নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ।পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, চামড়াঘাট হতে মিঠামইন পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ না থাকায় শুস্ক মৌসুমে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। প্রকল্পের আওতায় শুস্ক মৌসুমে চলাচলের উপযোগী সাবমার্জিবল সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন ,ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ এলাকায় উচ্চমানসম্পন্ন, কোলাহলমুক্ত রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচার , জনগণকে জাতিগঠনমূলক কাজে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ ও উৎসাহিত করা ,স্থানীয় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের লালন-পালন করা এবং তৃণমূল পর্যায়ে শ্রমিক, কৃষকসহ সকল পর্যায়ের মানুষের মধ্যে সব ধরনের তথ্য, উন্নয়ন বার্তা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ।
একনেক সভায় অনুমোদিত ৮টি প্রকল্পসমূহ হচ্ছে,“উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো (সংশোধিত)” প্রকল্প।
এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১০৫৭.৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ২১৫.১১ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৮৪২.৪০ কোটি টাকা।রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উন্নয়ন” প্রকল্প।এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১৭২.৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ১৩৮.৩৯ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৩৪.৬০ কোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (খুলনা জোন)” প্রকল্প।এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৫৯৯.৭৪ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। “গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (কুমিল্লা জোন)” প্রকল্প।
এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৪৭৬.৩৯ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি।“গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (রংপুর জোন)” প্রকল্প।এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৫৯৮.১০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি।“কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট-মিঠামইন সড়ক উন্নয়ন (চামড়াঘাট-মিঠামইন অংশ) জেড-৩৬০৩) (২য় সংশোধিত)” প্রকল্প।এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১৩২.৫৩ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ” প্রকল্প।এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১৫২.১০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। “ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জে দুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ১০ কিলোওয়াট এফ. এম বেতার কেন্দ্রের স্থাপন (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প।এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১০০.০৮ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি।