ওসি পদে ক্যাডার নিয়োগঃ নন-ক্যাডারদের আপত্তি
স্টাফ রিপোর্টার ঃ থানার ওসি পদে আবারো ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।আগামি ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পুলিশ সপ্তাহে এ ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ননক্যাডার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে।তবে কেউ এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না।পুলিশ বাহিনীর নীতিনির্ধারণী গ্রুপের (পলিসি গ্রুপ) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে রাজধানীর মডেল থানাসমূহে, এরপর দেশের সব মডেল থানা এবং পরে এ, বি ও সি ক্যাটাগরির থানায় সহকারী পুলিশ সুপারদের দায়িত্ব দেয়া হবে।সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘ সাত বছর থেকেই বিভিন্ন সময়ে ক্যাডার কর্মকর্তাদের থানার দায়িত্ব দেয়ার কথা বলা হচ্ছে।যতবারই বিষয়টি সামনে আসে, ততবারই পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনসহ ননক্যাডার কর্মকর্তাদের আপত্তি এবং প্রতিবাদের মুখে ওই প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়।সর্বশেষ থানার ওসিদের স্বপদে বহাল রেখে প্রত্যেক থানায় তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে একজন করে এএসপিকে দায়িত্ব দেয়ার বিষয়েও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।বিভাগীয় পদোন্নতিপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ কমিশনার বা সহকারী পুলিশ সুপারদের এক্ষেত্রে নিয়োগ দেয়ার কথাও বলা হয়।কিন্তু ননক্যাডারদের আপত্তির মুখে সেটা বাস্তবায়িত হয়নি।এর আগে ২০১০ সালের ৫আগস্ট পলিসি গ্রুপের এক বৈঠকে থানায় এএসপি পদমর্যাদার একজন ক্যাডার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।ওই বৈঠকে পরীক্ষামূলকভাবে মডেল থানাগুলোতে এএসপিদের দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।পরে ননক্যাডার পুলিশ সদস্যদের তীব্র আপত্তির মুখে ওই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হয়নি।সূত্রটি আরো জানায়, গত বছরের মাঝামাঝি ডিএমপির নতুন অর্গানোগ্রাম বা সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদন করে সরকার।এতে বলা হয়, পরিদর্শকের পরিবর্তে থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) বা সহকারী পুলিশ সুপার।পাশাপাশি প্রতিটি থানায় তিনজন করে ইন্সপেক্টর দেয়ার কথাও বলা হয়।সেগুলো হচ্ছে- ইন্সপেক্টর প্রশাসন, ইন্সপেক্টর তদন্ত ও ইন্সপেক্টর অপারেশন।বর্তমানে থানায় তিনজন করে ইন্সপেক্টর দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়া প্রতিটি অপরাধ অঞ্চলের সহকারী কমিশনারের পরিবর্তে দায়িত্ব পাবেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার।সারা দেশে প্রতিটি অপরাধ অঞ্চলের দায়িত্ব পাবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অ্যাডিশনাল এসপি।