গাজীপুরে ডুয়েট শিক্ষার্থীকে মারধর “সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাংচুর”
মুহাম্মদ আতিকুর রহমানঃ গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) এক শিক্ষার্থীকে বাসের শ্রমিকরা মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ডুয়েটের শিক্ষার্থীরা জয়দেবপুর-শিমুলতলী সড়ক প্রায় ৫ ঘন্টা অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বাসের কাঁচ ভাংচুর করেছে।
৮ মে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা ধরে জয়দেবপুর-শিমুলতলী সড়ক অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে এবং ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিলে ওই সড়ক থেকে তারা অবরোধ তুলে নেয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
ডুয়েটের ইইই বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ সাদ্দাম হোসেন জানান, গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডুয়েটের সিভিল বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র মোঃ রাজন বলাকা পরিবহনে করে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুরের দিকে আসছিলেন। এ সময় ওই বাসের সুপারভাইজার তার কাছে ১৫ টাকা ভাড়া দাবি করে। পরে সে ছাত্র পরিচয় দিলে তার সঙ্গে সুপারভাইজার খারাপ করে। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে বলাকা পরিবহনের সুপারভাইজার রাজনকে বেধড়ক মারধর করে এবং কৃষি গবেষণার সামনে চলন্ত গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
পরে বিষয়টি ডুয়েট ক্যাম্পাসে পৌঁছালে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয় এবং রাতেই তারা জয়দেবপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে এ ঘটনার বিচার দাবি করে। কিন্তু সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বলাকা পরিবহনের মালিক অথবা শ্রমিক পক্ষের কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে।
জয়দেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে তিনি নিজে সেখানে উপস্থিত হয়ে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে শিক্ষার্থীদের এবং বলাকা বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা হয়।আগামী বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি আবার আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধান করার আশ্বাস দেয়া হয়। পরে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।