সব

নড়াইলে কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত ৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Saturday 20th May 2017at 11:40 pm
35 Views

 

14

উজ্জ্বল রায়ঃ নড়াইলে কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে দোকানঘর ও গাছতলায়। প্রচণ্ড খরতাপ আর প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেই পাঠ গ্রহণ করছে এসব বিদ্যালয়ের দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। এতে অসুস্থতা ও নানা বিড়ম্বনার কারণে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম।

নড়াইলের জেলার গত ২৩ এপ্রিল বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীতে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বুড়িখালী, যাদবপুর পূর্বপাড়া ও দক্ষিণ জামরিলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া মাউলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতবাড়িয়া, পূর্ব পেড়লি ও পশ্চিম পেড়লি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চালা উড়ে গেছে। সরেজমিন দেখা যায়, নড়াইলের পেড়লি ইউনিয়নের দক্ষিণ জামরিলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনশেডটি ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় বিদ্যালয়ের সামনের নারকেলগাছ তলায় চলছে পাঠদান। একই চিত্র পাশের পুরুলিয়া ইউনিয়নের বুড়িখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়টিতে পুরনো টিনশেড ঘরেই ক্লাস নেয়া হতো। কিন্তু কালবৈশাখীতে সেটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এতে বিদ্যালয় থেকে ৩০০ গজ দূরে রাস্তার পাশের একটি দোকানঘরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হচ্ছে। রাস্তায় যানবাহনের হর্ন, বাজারের কোলাহলসহ নানা কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান মারাত্মকভাবে বিঘ্ধিসঢ়;নত হচ্ছে।

নড়াইলের পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের যাদবপুর পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ভবনও কালবৈশাখীতে উড়ে যায়। ফলে সেখানেও শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেয়ার কোনো পরিবেশ নেই। এ অবস্থায় বিকল্পভাবে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা পাঠদান চালু রাখার চেষ্টা করছেন। এছাড়া মাউলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতবাড়িয়া, পূর্ব পেড়লি ও পশ্চিম পেড়লি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় সেখানেও পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

দক্ষিণ জামরিলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রজ্ঞা পারমিতা বিশ্বাস বলেন, ‘প্রচণ্ড রোদে বাইরে ক্লাস নেয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাছাড়া নারকেলগাছের নিচে ক্লাস নেয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ।’নড়াইলের পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান বলেন, ‘ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারব বলে আশা করছি।’ এ ব্যাপরে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর কুমার মিত্র আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ‘ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালু রাখতে স্থানীয়ভাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ভবন মেরামত ও নতুন করে নির্মাণের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।


সর্বশেষ খবর