ইসলামী ব্যাংকের পরিচালকেরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন
স্টাফ রিপোর্টারঃ ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা নিয়ে পরিচালকদের কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আহসানুল আলমের পক্ষে অবস্থায় নিয়েছেন ব্যাংকটির আরও ছয় পরিচালক। চেয়ারম্যান আরাস্তু খানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্য পরিচালকেরা। এতে ব্যাংকের কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের মধ্যে একধরনের অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় এ ব্যাংকটির পরিচালনায় বড় পরিবর্তন আসে। বর্তমানে ব্যাংক পরিচালকদের সবাই নতুন নিয়োগ পাওয়া। ব্যাংকটির ১৯ পরিচালকের মধ্যে ৯ জনই স্বতন্ত্র।
ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সামনে রেখেই এসব কোন্দল নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ২৩ মে এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।
কোন্দল প্রকাশ্য হয় স্বতন্ত্র পরিচালক সৈয়দ আহসানুল আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে। ১১ মে তিনি লেখেন, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে নিয়ে প্লাস-মাইনাসের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তাঁর সরে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’ এরপর গত শনিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে স্বতন্ত্র এই পরিচালক জাকাত তহবিল, ইফতারের টাকা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল সম্পর্কে কথা বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আরাস্তু খান। এ সময় তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আহসানুল আলম গোপনীয়তা রক্ষার শপথ লঙ্ঘন করেছেন। আমি তাঁকে পদত্যাগ করতে বলব না, উনি নিজে সরে গেলে সমস্যা নেই।’
গতকাল শনিবার সৈয়দ আহসানুল আলমসহ সাত পরিচালক স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৩ মে পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের শীর্ষ পদ থেকে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় পরিচালকেরা বলেন, হুমকির মুখে যদি কোনো পরিচালককে পদত্যাগ করানো যায়, তবে একের পর এক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পরিচালকদের বিদায় নিতে হবে। হুমকির মাধ্যমে কোনো পরিচালককে পদত্যাগ করানোর চেষ্টা করা হলে অনেক পরিচালক একযোগে পদত্যাগ করবেন। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক আবদুল মতিন, বোরহান উদ্দিন আহমেদ ও কাজী শহিদুল আলম। বাকিরা হলেন স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল মাবুদ, সাইফুল ইসলাম ও হেলাল আহমেদ চৌধুরী।
এবিষয়ে আহসানুল আলম বলেন, ‘আমাকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ে জানিয়েছি। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকটি লুট করার জন্য আমাকে সরানো হবে, চেয়ারম্যানকে দিয়ে এটা করানো হচ্ছে।’
ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আরাস্তু খান বলেন, ‘ব্যাংকের কোনো পরিচালকের প্রকাশ্যে এভাবে কথা বলা ঠিক না। আমি নিজে ওনার নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি লিখেছি।’ তিনি বলেন, ‘ব্যাংকে আমার কোনো ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা নেই।’ সূত্র: প্রথম আলো