সব

নড়াইলে দুদকের জালে মেসার্স ঘোষ এন্টার প্রাইজ

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Sunday 20th August 2017at 1:57 pm
57 Views

উজ্জ্বল রায়ঃ নড়াইলের তালিকাভূক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঘোষ এন্টার প্রাইজ, প্রোঃ পরিমল কুমার ঘোষ, প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ কাজ করার পরও দুদকের দায়েরকৃত মামলায় হতবাক ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সুধী সমাজসহ স্থানীয়রা ।

অনুসন্ধানে দেখা যায় ২০১৫/১৬ অর্থ বছরে নড়াইলের জয়পুর ইউনিয়নের চাঁচই ধানাইড় (সিডি) বাজার হতে নড়াইলের কালনা আর এন্ড এইচ সড়ক ৫শ হইতে ১হাজার ৮৯ মিটার মেরামত কাজে চুক্তিকৃত মূল্য ৩৪লক্ষ ৪৭হাজার ২৪০টাকা। বরাদ্দকৃত অর্থের জামানত কর্তন ১লক্ষ ৫৭হাজার ৩৬৩,আয়কর ১লক্ষ ৩৭হাজার ৮৯০, ভ্যাট ২লক্ষ ৬হাজার ৮৩৪, পুরাতন মালামাল বাবদ ২লক্ষ ৯৯হাজার ৯৭২, সর্বমোট কর্তনকৃত ৮লক্ষ ২হাজার ৫৯ টাকা। মেরামত কাজে ব্যয় নির্বাহ করা হয় ২৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ১’শ ৮১ টাকা।

উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গণি কর্তৃক স্বাক্ষরিত ৩১জুলাই-২০১৬,এলজিইডি/উঃপ্রকৌঃ/লোহাঃ/২০১৪/৪১৩/১ (১) স্বারকে মেসার্স ঘোষ এন্টার প্রাইজ, প্রোঃ পরিমল কুমার ঘোষ’র প্রতিষ্ঠান ২৬ জুন ১৬ তারিখে পেমেন্ট সার্টিফিকেট মোতাবেক চালানের মাধ্যমে সরকারী রাজস্ব পরিশোধ করেন। সরকারী নিয়মনীতি ও প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণের মধ্যে দীর্ঘ কাজের শেষে সমাপ্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেসার্স ঘোষ এন্টার প্রাইজ।

উপজেলা প্রকৌশলী ওসমান গণি’র অপর স্বাক্ষরিত ২৯ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে এলজিইডি/উঃপ্রকৌঃ/লোহাঃ/নড়াঃ/২০১৬/৬৭১/১ স্বারকে মেসার্স ঘোষ এন্টার প্রাইজ হতে কাজ বুঝে নেন। এবং ওয়ার্ক সার্টিফিকেটের
মাধ্যমে শতভাগ কাজ হয়েছে মর্মে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠানটি সরকারী রাজস্ব পরিশোধ করে সঠিক ভাবে কাজ করার পরও দুদকের দায়েরকৃত মামলায় হতবাক ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন,সুধী সমাজসহ স্থানীয়রা। জয়পুর
ইউনিয়নের কাউড়িখোলা গ্রামের কৃষিজীবী রাজিবুল মোল্যা ও কামঠানা গ্রামের মৎস ব্যাবসায়ী শুকুর সহ অনেকে এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে রাস্তাটিতে ইটের সলিং হলেও মেরামত না করায় বন্যা ও বর্ষার
পানিতে ইট উঠে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে অনাদরে পড়েছিল।

অত্র এলাকার কৃষি পণ্য আনয়ন ও স্কুলগামী কমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। কালনা-নড়াইল সড়কের চেয়ে ভাল সড়ক হয়েছে বলে বেজায় খুশি এলাকার প্রায় ২ হাজার ভূক্তভোগী পরিবার। উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী (এলজিইডি) খালেকুজ্জামান বলেন, সড়কটির চুড়ান্ত বিল পরিশোধ করা হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখনো জামানত ফেরত পায়নি। মেরামত কাজে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে জামানত বাজেয়াপ্ত করার বিধান রয়েছে। উল্লেখ্য ওই প্রকল্পের বিপরীতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ৭জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আলী আকবর বাদী হয়ে ঠিকাদার পরিমল কুমার ঘোষসহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।


সর্বশেষ খবর