জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস কাল
বই পড়ি স্বদেশ গড়ি
……………………………………
বর্তমান গ্রন্থাগারবান্ধব সরকার ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ১৯৫৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র–শিক্ষক কেন্দ্রের নিকটে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা সূত্রে সরকার এ দিবসটি ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং এ সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থাকে নির্দেশ প্রদান করে পরিপত্র জারি করেছে।
প্রসঙ্গত : গ্রন্থাগার একটি স্বীকৃত সামাজিক প্রতিষ্ঠান। চলমান জীবনধারা, শিক্ষা ও সংস্কৃতিরও গ্রন্থাগার অন্যতম ধারক ও বাহক। জ্ঞানার্জন, গবেষণা, চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশ, সংস্কৃতির্চ্চার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রে জনসমষ্টিকে আলোকিত করে তোলা এবং পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অপরিসীম। এই ভূমিকা সম্পর্কে জনসাধারণকে আরো বেশি সচেতন করে তোলার জন্যই ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’–এর প্রবর্তন। এতে গ্রামগঞ্জে নতুন নতুন গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব জনগণ আরো ব্যাপকভাবে উপলব্ধি করতে সমর্থ হবে। ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’–২০১৮ উদ্যাপনের প্রতিপাদ্য বিষয় ও োগান হলো-‘বই পড়ি, স্বদেশ গড়ি’।
দিবসটি প্রথম বারের মত যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে পালিত হবে। চট্টগ্রাম জেলায় ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উদ্যাপনের জন্য আগামীকাল সকাল ৯ টায় ডিসি হিল থেকে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০১৮ এর উদ্বোধনী র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্পর্কে ঐদিন সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১ টায় কর্মসূচির আওতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বিখ্যাত বই দুইটির পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
সন্দীপনা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সন্দীপনা কেন্দ্রীয় সংসদের সঙ্গীত, নাটক, আবৃত্তি, নৃত্য, চারুকলা ও লোককলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় ৩ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচীতে থাকবে শহীদ বেদীতে একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালি, আলোচনা সভা, শিশু–কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, সন্দীপনা ঘোষিত বিশিষ্ট গুণী বাঙালীকে একুশের স্মারক সম্মাননা প্রদান, একুশের গান, নাট্যপ্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণ ও লোক কবিদের কবি গানের আসর প্রভৃতি। এই উপলক্ষে সন্দীপনা কেন্দ্রীয় সংসদের এক প্রস্তুতি সভা সন্দীপনার দোস্ত বিল্ডিংস্থ সংগঠন কার্যালয়ে গতকাল বিকাল সাড়ে ৪ টায় সন্দীপনার কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা চ.বি. অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে কর্মসূচির রূপরেখা তুলে ধরেন ভাষ্কর ডি.কে.দাশ (মামুন)। বক্তব্য রাখেন– বাবুল দাশ, বিশিষ্ট সংগঠক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন, আলোকচিত্রী দেব প্রসাদ দেবু, কবিয়াল অশ্বিনী কুমার দাশ, কবিয়াল আব্দুল লতিফ, সংগঠক শেখ শওকত ইকবাল, সাংবাদিক আবছার উদ্দিন অলি, সংগঠক মোশারফ হোসেন খান রুনু, প্রধান শিক্ষক তরণী কুমার সেন, শিক্ষিকা তাহেরা খাতুন, আবৃত্তিকার মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, প্রকৌশলী অনিত কুমার নাথ, নাট্যকর্মী কে.কে. বাবুল, নাট্যকর্মী এমরান হোসেন মিঠু, আইটি এক্সপার্ট মোঃ ইসমাইল হোসেন, নাট্যকর্মী জাহানারা পারুল, প্রকৌশলী সঞ্জয় দে সনজিত, নাট্যকর্মী মোঃ রাশেদ, মোঃ আজগর আলী, শিল্পী তপন কুমার দাশ, সংগীত শিল্পী বৃষ্টি দাশ, নিগার খন্দকার, মৈত্রী আচার্য, জ্যোতি শর্মা প্রমুখ। কর্মসূচিকে সফল করতে নাট্যকর্মী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে চেয়ারম্যান, মোঃ রাশেদকে সদস্য সচিব, মোশারফ হোসেন খান রুনুকে প্রধান সমন্বয়কারী করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন পরিষদ’২০১৮ গঠিত হয়। একুশ উপলক্ষে সংগীত, আবৃত্তি, চিত্রাংকন, নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিশু–কিশোরদের সন্দীপনার দোস্ত বিল্ডিং কার্যালয় হতে দ্রুত ফরম সংগ্রহ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।