বাংলাদেশ ও ইফাদের মধ্যে ৯২ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ছয়টি জেলার দুস্থ মানুষের অবকাঠামো ও বাজার উন্নয়নে ৯২ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ইফাদ সদর দপ্তরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং ইফাদ প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হুয়াংবো চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছয়টি জেলার দুস্থ জনগণের অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন এবং তথ্য-সংক্রান্ত একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
জেলাগুলো হচ্ছে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা ও জামালপুর। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের কাজ এ বছর শুরু হবে। এতে এই জেলাগুলোর তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।
শহীদুল হক বলেন, প্রকল্পের মূল ব্যয়ের ৬৩ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান হিসেবে ইফাদ প্রদান করবে। বাকি ২৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ সরকার প্রদান করবে।
পররাষ্ট্র সচিব আরো বলেন, রোমে ইফাদ গভর্নিং কাউন্সিলের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন দেশ ইফাদকে অর্থ দেওয়ার অঙ্গীকার করে। এই অর্থ ইফাদ অনুদান ও ঋণ হিসেবে ব্যবহার করবে। বৈঠকে চীন সর্বাধিক ৯০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাংলাদেশ ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার প্রদানের অঙ্গীকার করে।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান শিকদার, প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রকল্পটি এলজিআরডি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এর আগে ইফাদ প্রেসিডেন্ট সংস্থার সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, সাক্ষাৎকালে আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুও উঠে আসে।