সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রায় সাংস্কৃতিক আন্দোলন অপরিহার্য অনুষঙ্গ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বস্তুত মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতার ফসল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রা সফল করে তুলতে সাংস্কৃতিক আন্দোলন এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ।
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বাঙ্গালীর সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংস করতে হাজার বছরের সর্বম্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে অপসংস্কৃতির যে বীজ বপন করেছে তা প্রতিহত করতে সাংস্কৃতিক সংগ্রামের কোন বিকল্প নেই।শনিবার বিকালে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে উষসী সাহিত্য-সংস্কৃতি পর্ষদের ৩৬ বছর পূর্তি ও ৩৭ বছর পর্দাপন উপলক্ষ্যে গুনীজন সংবর্ধবনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
মাননীয় মন্ত্রী আরো বলেন, উষসী সাহিত্য-সংস্কৃতি পর্ষদের নিবেদিত কর্মীবৃন্দ বিগত ৩৬ বছর যা নিরলশভাবে কাজ করে যে সফলতা অর্জন করেছে তা মেঘনা-গোমতী কূলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারাকে সমৃদ্ধ ও বেগবান করে এনে দিয়েছে গৌরব।আমি গর্বিত এই সংগঠনের ৩৬ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রন জানানোর জন্য। আমি উষসী সাহিত্য-সংস্কৃতি পর্ষদের উত্তর উত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। আমি উষসী সাহিত্য-সংস্কৃতি পর্ষদের সকল সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি যে তারা প্রত্যেক বার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করেন। আপনাদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমেই সমাজে তৈরি হবে গুণী জন।
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে উষসী সাহিত্য-সংস্কৃতি পর্ষদের এ অনুষ্ঠানের অন্যতম একটি চমকপ্রদ দিক হচ্ছে এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য যেসকল গুনীজনদেরকে পদক প্রদান করা হয়ে তাদের মধ্যে ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পদক পেয়েছেন নাফিসা কামাল। নাফিসা কামাল বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের ক্রীড়া ক্ষেত্রের এক সুপরিচিত নাম। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারম্যান।স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেও তিনি ব্যবসায় না ঝুকে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরো বেশী সমৃদ্ধ করতে পিতার প্রদর্শিত পথেই তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। তার হাত ধরেই বাংলদেশের ঘরোয়া লীগ অনেক সমৃদ্দি অর্জন
করেছে এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএলে তাদের জ্যোতি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখের প্রাক্তণ সিনিয়র সচিব ও পরিচালনা পর্ষদ রূপালী ব্যাংক লি: এর চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন এবং স্বাস্থ্য সচিব (সেবা) মো: সিরাজুল ইসলাম খান।