নির্বাচনে না আসলে কিছু করার নেই: শেখ হাসিনা
স্টাফ রিপোর্টারঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন না করলে কারও কিছু করার নেই, গতবারও করেনি। নির্বাচনে যদি না আসে, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।
আজ (সোমবার) গণভবনে ইতালি সফর শেষে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের পর এই প্রথম তাকে সামনে পেলেন সাংবাদিকরা।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন না করলে কারও কিছু করার নেই, গতবারও করেনি। নির্বাচনে যদি না আসে, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। নির্বাচন সময় মতোই হবে। হাসিনা বলেন, এতিমের টাকা মেরে খেলে শাস্তি, এটা আদালতও দেয়, আল্লাহর তরফ হতেও দেয়। আমাদের তো কিছু করে নাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রায়টা তো আমি দিইনি, রায়টা দিয়েছে কোর্ট। মামলাটা করেছে কে? ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীন সরকার। ফখরুদ্দীনকে গভর্নর করেছিল। নয়জনকে ডিঙ্গিয়ে মইনুদ্দিন আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছিল। আর ইয়াজউদ্দীন তো তাদের ছিলই। মামলাটা তারা দিয়েছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মন্ত্রী কি নিজে প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে গেছে, না কি সচিব গেছে? প্রশ্ন ফাঁসের জন্য ব্যর্থতার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- মাছরাঙা টেলিভিশনের রেজওয়ানুল হক রাজার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন ফাঁস নতুন কিছু না, কখনও প্রচার হয়, কখনও প্রচার হয় না।
প্রশ্নগুলো কতদিন আগে ফাঁস হয়েছে, তা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। উত্তর পেয়ে বলেন, ২০ মিনিট আগে প্রশ্ন ফাঁস হলে আপনি কি করবেন? তিনি বলেন, আর আমাদের এখানে এত বেশি ট্যালেন্টেড কে আছে, আধা ঘণ্টা আগে, ২০ মিনিট আগে ওই প্রশ্ন অনুযায়ী বই খুলে উত্তর মুখস্থ করে খাতায় লিখবে, এত ট্যালেন্টেড কে আছে?
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকারবকশিবাজারের আলীয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এবং তারেক রহমান’সহ বাকি ৫ আসামিদের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড’সহ ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে আদালত।
রায়ের পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। নির্জন কারাগারের একমাত্র বন্দি হিসেবে বেগম জিয়া সেখানেই আছেন।