সাত মার্চের ঐতিহাসিক বিশ্বস্বীকৃতি ধরে রাখার আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্বস্বীকৃতি শুধু অর্জন করলেই হবে না, তার গুরুত্ব, বিষয়াদি, পটভূমি এবং গোটা জাতি কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করেছে তা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা সহ এ অর্জন ধরে রাখার আহ্বান জানান বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ)।
বুধবার (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিবের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি গোটা জাতির কাছে লুকিয়ে রাখলেও বাঙালি জাতিস্বত্তার টানে খুজে বের করেছে। সবার সামনে তুলে ধরেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ঐতিহাসিক এই ভাষণটি বাংলাদেশের জাতীয় ভাষণ হিসেবে ঘোষণা না করলেও ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করেছেন।
তিঁনি আরও বলেন, ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে এমনি করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বস্বীকৃতি অর্জন করে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করলেও ভাষাশহীদদের ইতিহাস আজও তাদের অজানা। ভাষা সংক্রান্ত কোনও তথ্য শুধু ইউনেসকো’র ওয়েবসাইটেই নয়; খোদ আমাদের মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটেও নেই। এটা আমাদের জন্য পরিতাপের বিষয়।
শুধু বিশ্বস্বীকৃতি অর্জন করলেই হবে না, ভাষাশহীদদের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বপরিমন্ডলে ছড়িয়ে দিতে হবে। কীভাবে একটি তর্জনি ও একটি ভাষণে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে তার ইতিহাস বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার ব্যবস্থা করবে সরকার এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।
পুস্পস্তবক অর্পনের সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রাশিদা হক কনিকা, সহ-সভাপতি এড. ইয়াছিন করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম এইচ চৌধুরী, সাংগঠনিক সস্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রাজীব, মাজহারুল ইসলাম জুয়েল, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিব, গাজী সালাউদ্দিন তুহিন, ডেবিট হাওলাদার, জাহিদুর রহমান জাবেদ, আরফান আলী, ইসহাক হোসেন রনি, তোফায়ের আহমেদ, রাকিব সজল, নাঈমুর রহমান ইমন প্রমুখ।