কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাকেশের সফটওয়্যার : নিরাপত্তা ঝুকির আশঙ্কা
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊধ্বর্তন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন ওনার (রাকেশ আস্তানা) মৌখিক পরামর্শে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সকল পিসিতে ও সার্ভারে সফটওয়্যার বসানো হচ্ছে। ভিনদেশি একজন নাগরিকের কাছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দেশের আর্থিক খাতের সকল নিরাপত্তা তুলে দেওয়া হচ্ছে। এটা দেশের আর্থিক খাতের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হ্যাক করে ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৬ জনকে শনাক্তের পর তদন্ত শুরু করেছে ফিলিপাইনের এন্টি-মানি লন্ডারিং বিভাগ (এএমএলসি)।
এর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, ফিলিপাইনের এন্টি-মানি লন্ডারিং বিভাগ আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। আশা করি আমরা অচিরেই টাকা উদ্ধার করতে পারব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের একটি বড় অংশ রাখা আছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে। সেখান থেকেই টাকা তোলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার থেকে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৩০টি আদেশ পাঠানো হয়। এর মধ্যে প্রথম পাঁচটি আদেশে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা চলে যায় শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনের ব্যক্তিগত কয়েকটি অ্যাকাউন্টে। টাকার সন্দেহজনক গন্তব্যের কারণে পরবর্তী আদেশগুলো কার্যকর করেনি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় সার্ভারের মধ্যে ম্যালঅয়্যার ঢুকিয়ে পাসওয়ার্ড, সুইপ কোডসহ সব তথ্য চুরি করা হয়। এরপর এই সার্ভারের মাধ্যমেই নিউইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংক থেকে টাকা স্থানান্তরের আদেশ পাঠনো হয়।