সব

ডিজিটাল এশিয়া প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই —— মোস্তাফা জব্বার

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Tuesday 7th August 2018at 12:23 am
132 Views

 

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে বাংলাদেশ কাজ করছে। তিনি ডিজিটাল এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় আঞ্চলিক টেলিকম নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ অঞ্চলের দেশসমূহকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।  বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই অঞ্চলের দেশসমূহের রেগুলেটরদের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।  সামগ্রীকভাবে ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের বিকাশ যাতে ব্যাহত না হয় এই নীতিতে কাজ করার জন্য তিনি এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিকম রেগুলেটরদের প্রতি আহবান জানান।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল রেডিসনে আইটিইউ-বিটিআরসি এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহের রেগুলেটর রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স -২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী  আগস্ট মাসকে বাঙালির শোকের মাস উল্লেখ করে ঘাতকের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫আগস্ট   নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তৃতা শুরু করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী  ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর সদস্যপদ লাভ এবং ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বহির্বিশ্বের সাথে টেলিযোগাযোগ কানেকটিভিটি স্থাপনে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে রুপান্তরের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা ভেঙ্গে দিয়ে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে  দেন। কম্পিউটারের ট্যাক্স – ভ্যাট প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সকলের জন্য সহজ লভ্য করেন। মন্ত্রী গত নয় বছরে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্কে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের মহাকাশে ৫৭ তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনকারী দেশের মর্যাদা  অর্জন করেছে। তিনি বলেন, আমরা দুনিয়ার গুটিকয়েক দেশের মধ্যে একটি দেশ যারা ৫জি পরীক্ষা করেছি। ৫জি প্রযুক্তিতে আমরা পিছিয়ে থাকবনা।

জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইন্টারনেট এখন মানুষের মৌলিক অধিকারের পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। তিনি প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলেন, ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের কারণে ‘আমি কী আমার জনগণের কর্মসংস্থান বহাল রাখতে পারব। আমি কী একই সাথে যারা দুনিয়ার প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে থাকতে পারব‘। এই সব চ্যালেঞ্চ মোকাবেলার উপায় উদ্ভাবনে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেলিকম রেগুলেটরদের ভূমিকা রাখতে হবে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের  টার্গেট ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা ও একটি জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন (আইটিইউ) এশিয়া প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক আইওনি করইভউকী (ওঙঘঊ কঙজঙওঠটকও), এপিটি (এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি)সেক্রেটারি আরউইন হাওরাঙফি (অজণডঊঊঘ ঐঅঙজঅঘএঋও) এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো: জহিরুল হক অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
তিন দিন ব্যাপী কনফারেন্সে এই অঞ্চলের  ২৬ দেশের ৪২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। আগামী ৮ আগস্ট সম্মেলন শেষ হবে।


সর্বশেষ খবর