সব

চার শিল্পীকে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Friday 9th November 2018at 8:28 am
107 Views

বিনোদন ডেস্কঃ চিকিৎসা ও অসহায়ত্ব দূর করতে দেশের চার প্রথিতযশা শিল্পীর পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চলচ্চিত্র অভিনেতা প্রবীর মিত্র, রেহানা জলি, নূতন ও কণ্ঠশিল্পী কুদ্দুস বয়াতিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে গণভবনে ডেকে ৯০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় চার শিল্পী উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এই অনুদান গ্রহণ করেন। প্রবীর মিত্র ও রেহানা জলি পেয়েছেন ২৫ লাখ করে এবং অভিনেত্রী নূতন ও শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি পেয়েছেন ২০ লাখ করে।

শিল্পী ঐক্য জোটের সভাপতি ও অভিনেতা ডি এ তায়েবের পরামর্শে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও নাট্য নির্মাতা জিএম সৈকতের তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন কুদ্দুস বয়াতি বাদে বাকি তিনশিল্পী। অনুদান গ্রহণের সময় শিল্পী ঐক্য জোটের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা জিএম সৈকত।

অনুদান প্রাপ্তির পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অভিনেতা প্রবীর মিত্র চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, প্রধানমন্ত্রী একজন অমায়িক মানুষ।

এতো ব্যস্ত উনি, হাজার হাজার মানুষ তার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য অপেক্ষা করছেন, কতো সমস্যা সামনে অথচ তিনি যখন আমাদের হাতে সঞ্চয়পত্র তুলে দিলেন তখন তার মুখে হাসি। এতো ঝামেলার মধ্যেও যিনি হাসি মুখে শিল্পীদের কদর করেন তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতো মানুষ চারদিকে, এতো ভিড়। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলার সুযোগ ছিলো না।

তবে সঞ্চয় পত্র হাতে তুলে দেয়ার সময় তিনি আমাকে বলেছেন, যে টাকা প্রতি মাসে আপনি পাবেন সেটা দিয়ে খুব ভালো চিকিৎসা হয়ে যাবে।

জিএম সৈকত বলেন, সঞ্চয়ী পত্র হিসেবে প্রতিমাসে একটি করে কিস্তিতে টাকা পাবেন তারা। গত সপ্তাহে চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুদান চেয়ে আবেদন জমা দেওয়া হয়। একসপ্তাহের মধ্যেই এই আবেদনে সাড়া মিলেছে।

প্রধানমন্ত্রী অসহায় এসব শিল্পীদের অনুদান দেয়ায় শিল্পী ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সংগঠনটির সভাপতি ডি এ তায়েব ও সাধারণ সম্পাদক জিএম সৈকত।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পাওয়ার পর শিগগির আবার নতুন করে চিকিৎসা শুরু করবেন জানিয়ে অভিনেত্রী রেহানা জলি বলেন, আমার জীবনে সবচেয়ে বড় উপকারটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই করলেন।

কারণ অর্থাভাবে আমার চিকিৎসাইতো বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। এখন আবার প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে চিকিৎসা শুরু করতে পারবো। সুস্থ হয়ে কাজে ফিরতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে আর কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকালে আমাদের ডেকেছিলেন। সেখানে গিয়ে দেখি প্রচুর মানুষের ভিড়। লোকে লোকারণ্য। এতো ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি আমাকে সময় দিলেন।

সঞ্চয় পত্র তুলে দিলেন, আমাকে দেখে তিনি শুধু একটি কথায় বলেছেন সেটা হলো, ‘এইরকম হয়ে গেছো তুমি?’। আসলে অসুস্থতার কারণে এমন অবস্থা হয়েছে আমার, যে অনেকদিন পর কেউ দেখলে আমাকে চিনতেই পারেন না।


সর্বশেষ খবর