যমুনা গ্রুপে থেকে ৭০০ কোটি টাকা আদায় করবে এনবিআর
ডেস্ক রিপোর্টঃ ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ায় যমুনা গ্রুপের অ্যারোমেটিক কসমেটিকসের কাছ থেকে প্রায় ৭শ’ কোটি টাকা আদায় করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে এ টাকা আদায় করা হবে বলে রবিবার এনবিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গাজীপুরের কোনাবাড়িতে অবস্থিত যমুনা গ্রুপের অ্যারোমেটিক কসমেটিকস ভ্যাট ও সম্পূরক কর ফাঁকি দেওয়ায় দুটি দাবিনামা জারি করে ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেট।
ভ্যাট আইনে শোকজ ও শুনানি শেষে ভ্যাট ফাঁকি ও অর্থদণ্ড বাবদ দুই মামলায় ১৭৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার দাবিনামা জারি করলে প্রতিষ্ঠানটি সময়ক্ষেপণ করে। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলা (৩০২৭/০৩ ও ৩০২৮/০৩) করলে দাবি করা ভ্যাট আদায় ঝুলে যায়। পরবর্তীতে শুনানি শেষে হাইকোর্ট রিট দুটি খারিজ করে দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যমুনা গ্রুপ হাইকোর্টের রায়ের বিপক্ষে আপিল ডিভিশনে ২০০৫ সালে লিভ-টু-আপিল দায়ের করে। দীর্ঘদিন আপিল পিটিশন দুটি বিচারাধীন থাকায় ফাঁকি দেওয়া টাকা আদায় করতে পারেনি ভ্যাট কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এনবিআর মামলা দুটি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিলে গত ১৬ মার্চ শুনানি শেষে ফুল বেঞ্চ সরকারের পক্ষে রায় দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ভ্যাট আইন অনুযায়ী পাওনা হওয়ার পর তা জমা না দিলে প্রতি মাসে ২ শতাংশ হরে সুদ দিতে হয়। বছরে ২৪ শতাংশ সুদ হিসেবে ১৭৪ কোটি টাকার উপরে যমুনা গ্রুপের কাছ থেকে পাওনা আদায় করা হবে। সুদসহ মোট পাওনার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৭শ’ কোটি টাকা।
সময়মতো এই টাকা পরিশোধ না করলে ভ্যাট আইন অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির বিধান আরোপ করা হবে। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছে প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ করা। ভ্যাট আইনের ৫৬ ধারাতে এ বিধান রাখা হয়েছে।