৬৩৯ ইউপিতে ভোটগ্রহন শুরু
স্টাফ রিপোর্টারঃ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই দ্বিতীয় ধাপে ৬৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তরের সবচেয়ে বড় নির্বাচন হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে যে ধরনের উৎসব-আমেজ বিরাজ করার কথা ছিল তা আর নেই।
ইতিমধ্যেই সারা দেশে ব্যাপক হারে সহিংসতায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকসহ বহু লোক আহত হয়েছে। আর নির্বাচনী প্রচারণা, বাড়ি-ঘর ও অফিসে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাতো আছেই।
বিশেষ করে গত ২২ মার্চ প্রথম দফার নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, জালভোট প্রদান, ব্যালট ছিনতাই ও সহিংসতায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হওয়ার পর প্রার্থীসহ সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এখন বিরাজ করছে ভয়-আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা। কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আগ্রহ মানুষ একেবারেই হারিয়ে ফেলেছে।
এরই মধ্যে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনেক স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বাধার কারণে প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি বিরোধীদলের প্রার্থীদের নানাভাবে নির্বাচনী প্রচারকাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এসবের পর প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা আরও বেড়ে গেছে। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কি না এনিয়ে তারা শঙ্কায় আছেন। আর এ অবস্থায় আজকের নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে ভোটারদের পাশাপাশি প্রার্থীরাও শঙ্কায় আছেন।
তারপরও প্রার্থী ও ভোটাররা আশা করছেন নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক ক্ষমতার সবটুকুই প্রয়োগ করবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভোটের নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশঙ্খলা বাহিনীর প্রায় পৌনে দুই লাখ সদস্য। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকবে ২০ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য।
দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ৬৩৯ ইউপিতে ২ হাজার ৬৬২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ২১ হাজার ২৫৯ জন সাধারণ সদস্য ও ৬ হাজার ৪৯৮ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী রয়েছেন।