কোটালীপাড়ায় আজ মনোনয়ন পত্র দাখিল
রনী আহম্মেদঃ উপজেলা নির্বাচন ২০১৯ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আজ মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রার্থীদের নেতা কর্মীরা উপজেলা চত্বরে এসে উপস্থিত হন। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে অনেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আবেদন করলেও নির্বাচন উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার কারনে অধিকাংশ প্রার্থীকেই
মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেখা যায়নি। চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।
এর মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস ও আওয়ামীলীগ নেতা কমল সেন মনোনয়ন পত্র জমা দেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, প্রাক্তন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান খান মিলন ও প্রাক্তন ঘাঘর ইউপি চেয়ারম্যান আঃ খালেক হাওলাদার মনোনয়ন পত্র জমা দেন। মহিলা ভাইস
চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস লক্ষি রানী মধু, রাফেজা বেগম ও গুলশানা আরা মিলি (রানী) কে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেখা যায়। এব্যাপারে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন-জনগনের আমার প্রতি বিপুল সমর্থন রয়েছে আমি আগেও বলেছি আমি নির্বাচিত হতে পারলে কোটালীপাড়াকে একটি মডেল উপজেলায় রুপান্তর করতে কাজ করে যাব এবং মসজিদ মন্দিরের উন্নয়ন কল্পে অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে।
প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস এক প্রশ্নের জবাবে বলেন- জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়া জনগন ত্যাগি ও পরীক্ষিত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি ৫টি
বছর ক্ষমতায় থেকে জনগনের কল্যানে কাজ করেছি, তাই আশাবাদী এবারের নির্বাচনেও জনগন আমাকে নির্বাচিত করবে, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান খান মিলন বলেন- আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাজীবন মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করেন, যেহেতু কোটালীপাড়ার জনগন শেখ হাসিনার ভোটার, আমি আশাবাদী জননেত্রীর মত কোটালীপাড়ার জনগন মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের শক্তিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।