সব

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Tuesday 2nd April 2019at 8:37 pm
70 Views

 

জেলা ডেস্কঃ কথাকাটাকাটির জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিবাদমান দুটি পক্ষের অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এদিকে সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশ ছয়জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

বিশ্বববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তৈয়ব সমকালকে বলেন, ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় মোট এগারোজন আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী সমকালকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

এদিকে এর আগে গত সোমবারও দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে গভীর রাতে পাঁচটি হলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় দুটি নল বন্দুক, ১২৮ রাউন্ড গুলিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

হাটহাজারি থানা পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীল বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ছয়জনকে আট্‌ক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে একযোগে ছয়টি ছাত্র হলে তল্লাশি চালাই। এ সময় দুটি নল বন্দুক, ১২৮ রাউন্ড গুলিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে বিজয় গ্রুপের কর্মী আবু বক্কর শহীদ আব্দুর রব হলের মাঠে খেলতে গেলে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা তাকে বেদম মারধর করে। বিষয়টি বিজয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে জানাজানি হলে দুই গ্রুপের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের কর্মীরা কাঁচের বোতল ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে পুলিশ দুই গ্রুপকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিজয় গ্রুপের নেতা চবি ছাত্রলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক এস এম জাহেদুল আওয়াল সমকালকে বলেন, আমাদের এক কর্মীকে সিএফসির কিছু কর্মী বিনা কারণে রব হলের মাঠে মারধর করে। বিষয়টা আমাদের কর্মীরা জানতে পারলে তাদের প্রতিহত করে। আমাদের নেতা নওফেল ভাইয়ের (শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল) বিশ্ববিদ্যালয়ে আসাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে ঝামেলা সৃষ্টি করছে তারা।

সিএফসি গ্রুপের নেতা সাবেক সহ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত দুটি গ্রুপের কয়েকজন কর্মী উদ্দেশ্য মূলকভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের পক্ষের যেসব কর্মী ঝামেলায় জড়াচ্ছে তাদের আমি চিহ্নিত করেছি। তাদের কথা নওফেল ভাইকে জানানো হবে।


সর্বশেষ খবর