সব

বাংলাদেশকে বুকে ধারণ করে ৬৬ বছর পার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Sunday 7th July 2019at 7:58 am
33 Views

এম এ, জাহাঙ্গীর, রাবি প্রতিনিধি:  শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির ধারা আজও আমাদের সাথী, অবিরাম এই চলার ছন্দে আমরা আলোর জ্ঞাতি’র এই স্লোগানকে সামনে রেখে নানা অয়োজনে  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এরই মধ্যে দিয়ে ৬৭ বছরে পা রেখেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

জ্ঞান, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তি সবক্ষেত্রেই বিগত দিনগুলোর অর্জনকে সামনে নিয়ে আগামীতে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।

৬৭ বছরের পথচলায় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা পালন করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ‘৬২-এর শিক্ষা আন্দলন,‘৬৬-এর ৬ দফা, ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০ এর সাধারণ নির্বাচন, ‘৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ‘এবং ৯০-এর স্বেরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাবির শিক্ষক-ছাত্রসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় স্বাধিকার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে রাবির শিক্ষার্থীরা। ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী গণআন্দোলন চলাকালে তৎকালীন পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাত থেকে ছাত্রদের বাচাঁতে গিয়ে শহীদ হন বিশ্ববিদ্যালয় সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক তৎকালীন প্রক্টর ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা।

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় মূল আয়োজন। সিনেটের সামনে বৃক্ষরোপন শেষে বেলুন-ফেস্টুন ও শন্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।

উদ্বোধন শেষে উপাচার্য বলেন, একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবী খুব চ্যালেঞ্জিং । চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকতে পারে না। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বমানের নাগরিক তৈরি করবো যারা দেশ ও জাতির কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। বর্তমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখা ও গবেষণায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করে চলছে। আমরা আশা করি এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমাদের মধ্যকার দীনতা, হীন্যতা দূর করে কর্মে প্রেরণা যোগাবে এবং সূদৃঢ় করবে। রাজশাহী বিশ্বববিদ্যালয় জ্ঞানার্জন ও মানবকল্যাণে সম্মিলিত অবদান রাখবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের প্রস্তুতি ছিলো আগে থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয় জোহা চত্বরে শনিবার সকাল থেকেই স্ব স্ব ব্যানারে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন আবাসিক হল ও বিভাগ সমূহ।

শেষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো জাকরিয়া, অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, ছাত্র উপদেষ্টা লায়লা আরজুমান বানু, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থী।


সর্বশেষ খবর