সব

সত্যিকারের ভালো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে চাই- নড়াইল পুলিশ সুপার জসিম

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Tuesday 9th July 2019at 8:26 am
31 Views

উজ্জ্বল রায়ঃ ‘সেবাই পুলিশের ধর্ম-এই স্লোগানে ওয়াদাবদ্ধ হয়ে একটি বাহিনী গঠিত হয়েছে সেটিই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। মানবের মাঝেই আমি বাঁচিবারে চাই।

পুলিশ বাহিনীতে যেভাবে মানুষের কাছে থেকে মানব সেবা করা যায় আমার মনে হয় আর কোন পেশা থেকে এমন সেবা দেয়া সত্যিই দুরুহ। উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)। এর লেখাপডার পাঠ চুকিয়ে চাকুরী নেন বাংলাদেশ পুলিশে। মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত এই নড়াইলের পুলিশ সুপার।

তিনি বলেন একজন পুলিশ সুপার হয়েও আমার মনের ভিতরে থাকা লুকানো পুঞ্জিভূত আকাঙ্খার জন্যই আমি পুলিশে চাকুরী নিয়েছি। মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছাটা ছিল আমার স্বপ্ন, আমার ভালবাসা। আল্লাহ আমার সেই আশা পূরণ করেছে পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী প্রদানের মাধ্যমে। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) আসার পর থেকেই তার মেধা মননশীলতা ও কর্মপরিকল্পনা দিয়ে নড়াইলের মানুষকে রেখেছেন শান্তিতে। জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নন ও পুলিশের কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য কমিউনিটি পুলিশিং এবং বিট পুলিশিং এর কার্যক্রমকে গতিশীল করেছেন। জেলা পুলিশের পাশাপাশি এর নড়াইলে ছিল। নারী নির্যাতন, নাশকতার ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, মাদক প্রতিরধ, যৌতুক, জুয়া, জমি-জমা সংক্রান্ত ছোটখাট বিরোধ নিষ্পত্তি, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা দেয়া, জঙ্গি তৎপরতা প্রোতিরোধ, অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণসহ এলাকার সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এখানকার মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন ক্লান্তিহীনভাবে। এ জেলার মানুষকে সেবা দিতে তিনি মাঠে ঘাটে, চরাঞ্চলে ছুটে চলেছেন কখনো নৌকায়, কখনো পায়ে হেঁটে কখনোবা রিক্সায় চড়ে। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) তিনি যোগদানের পর থেকে জেলায় সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করে ফেলেছেন। আবার অনেকেই ভয়ে এলাকা ছাড়াও হয়েছেন।

সাধারণের মানুষের মতে, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) হস্তক্ষেপে বর্তমানে শান্তির জেলা হিসেবে রয়েছে শীর্ষে। এই মানুষটি বর্তমানে জেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে।মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তার উদ্ভাবিত ‘ড্রাইভারদের জন্য রিফ্রেশমেন্ট’ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কয়েকদিন পুর্বেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে এক অসহায় বৃদ্ধা ভিক্ষুকের ভাতাসহ আবাসনের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। এছাড়াও তিনি এ এলাকার অসহায় অনেক মানুষের দুর্দিনে পাশে এসে দাঁড়িয়ে নজির স্থাপন করেছেন। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য পরিবারকে তার নিজস্ব তহবিল থেকে নগদ টাকা প্রদান করে অসহায় পরিবারটির পাশে এসে দাড়িয়েছেন।পরিবার সহ দূর্ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকেও উপহার হিসেবে ঈদ সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এমন সুন্দর মহানুভব মানুষটিকে পুলিশ সুপার হিসেবে পেয়ে নড়াইলের মানুষ আজ খুব আনন্দিত।

নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) এমন চমৎকার মানবতায় এখন এখানকার মানুষ তাকে আলোকিত মানুষ হিসেবে জানেন। পুলিশ বাহিনীতে এমন মানুষ সত্যিই বিরল বলে জেলাবাসী মনে করেন। ঘুষ ছাড়াই নড়াইল জেলায় এবার পুলিশে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চাকরী পেয়েছেন ২০ জন। এদের প্রত্যেকের খরচ হয়েছে মাত্র ১০০ টাকা। চাকরী প্রাপ্তদের মধ্যে অধিকাংকশরই পিতা দিনমজুর। কারো পিতা মৎস্যজীবী, কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ রিকসা ভ্যান চালক, কেউ এতিম কেউবা কৃষক, কেউবা রুটি। অর্থ বিত্তের জোরে এবার চাকরী হয়নি কারো। দালাল চক্র ভিড়তে পারেনি ধারে কাছে।

মেধা ও যোগ্যতার বলে বিনা ঘুষে পুলিশে চাকরী পেয়েছেন ২০ জন। চাকরী পাওয়ার ঘোষনা শুনে খুশিত কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকের পিতা-মাতা। আর পরিচ্ছন্ন নিয়োগের কারিগর হচ্ছে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)’র। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরীর জন্য। তার মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। চুড়ান্ত ভাবে উত্তীর্ণ হন ২০ জন। পুলিশ সুপারের ঘোষনা অনুযায়ী স্বচ্ছভাবে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। নড়াইলের পুলিশের ইতিহাসে ঘুষ বিহীন চাকরী প্রদান করায় বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)কে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে তিনি প্রশংসায় ভাসছেন।


সর্বশেষ খবর