সিদ্ধান্ত লন্ডনেই হয়েছে
খেলাধুলা ডেস্কঃ বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়েই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, স্টিভ রোডসকে বহিস্কার করা হবে। তাকে নাকি ঠিক কোচ হিসেবে মানায় না। অনেক ক্রিকেটাররা নাকি এমন অভিযোগ করেছেন। এছাড়া বিশ্বকাপে ব্যর্থতার কারণে বিসিবি প্রধান নাজমুল ইসলাম পাপনও ক্ষুব্ধ। শেষ পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপে তাদের খেলা শেষ করে দল ঢাকায় ফেরার একদিন পরই গতকাল সোমবার স্টিভ রোডসকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
২০১৮ সালের জুন মাসে দু বছরের চুক্তিতে স্টিভ রোডস বাংলাদেশ ক্রিকেটে দলের হেড কোচ হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এক বছরের মধ্যে তাকে বিদায় নিতে হলো। একইসঙ্গে বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের সাথে চুক্তি নবায়ন না করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘কোচের সাথে কথা বলে সমঝোতার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
চলতি বিশ্বকাপে দলের পারফরমেন্স নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে কোচ স্টিভ রোডসের চুক্তি বাতিল করা হলো। বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনে বিসিবির উপস্থিত সদস্যরা এক বৈঠকে বিশ্বকাপে দলের পারফরমেন্স পর্যালোচনা করেন। ঐ বৈঠকে কোচ স্টিভ রোডসের ‘গেম প্ল্যান’ এবং ম্যাচ চলাকালীন খেলোয়াড়দের সাথে ‘কমিউনিকেশন’ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। ওই সূত্র জানায়, ‘সিদ্ধান্ত লন্ডনেই হয়েছে।’
সোমবার ঢাকায় বিসিবির প্রধান নির্বাহী বৈঠক করে মি রোডস এবং কোর্টনি ওয়ালশকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত স্টিভ রোডসের সাথে বিসিবির চুক্তি ছিল। অবশ্য কোর্টনি ওয়ালশের সাথে চুক্তি ছিল চলতি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। বিশ্বকাপে আটটি ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচে জিতেছে। হেরেছে বাকি পাঁচটিতে। পয়েন্ট তালিকায় ১০ টি দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আট নম্বরে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আফগানিস্তানের আগে।