রাস্তায় মেয়ে দেখলেই শ্লীলতাহানি, রহস্যময় বাইকারকে ধরিয়ে দিল পানির জার!
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তার টার্গেটে থাকে কিশোরী কিংবা তন্বী যুবতী। একটু ভালো জামাকাপড় পরে রাস্তায় বেরোলেই এক মোটরসাইকেল আরোহীর কুনজরে পড়তেন তারা। কলকাতার অভিজাত লেক থানা এলাকার একটু ফাঁকা রাস্তায় যুবতীদের দেখলেই চলছিল শ্লীলতাহানি। কেউ কেউ সহ্য করেছেন মুখ বুজে। অনেকেই করেননি। সোজা হাজির হয়েছেন লেক থানায়। দায়ের করেছেন অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে আটক করতে পুলিশের সহায় হয়েছে পানি সরবরাহের জার। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম বিকাশ কুমার গুপ্ত।
লেক থানা সূত্রে জানা গেছে, শ্লীলতাহানির প্রথম অভিযোগ দায়ের হয় গত ২ এপ্রিল। অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালান। পরে ফের ওই বাইকারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয় ২০ মে। শেষ অভিযোগ আসে ২০ জুন। মাঝের সময়টায় অনেক মেয়ে লেক থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও বিভিন্ন কারণে তারা মামলা দায়ের করতে রাজি হননি। একের পর এক অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশ। শুরু হয় জোর-কদমে তদন্ত। যেসব এলাকায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। দেখা যায়, প্রতিটি ঘটনাতেই বিশেষ একটি বাইককে আশপাশে দেখা গেছে।
এক তদন্তকারী জানান, ভালো করে খতিয়ে দেখার পর দেখা যায় বিশেষ সেই বাইকের পেছনে বাঁধা আছে ২০ লিটারের পানির জার। এরপরই তদন্তকারীদের বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি যে, অভিযুক্ত যুবক বাড়ি বাড়ি খাবার পানি সরবরাহ করেন। এবার শুরু হয় তালিকা তৈরির কাজ। তারপরই চিহ্নিত করা হয় অভিযুক্তকে।
তার নাম বিকাশ। বিকাশ থাকে কলকাতার লেক সুপার মার্কেট এলাকায়। সেখানে তার বাবার একটি মুদির দোকান আছে। বিকাশ বাড়ি বাড়ি খাবার পানি সরবরাহের কাজ করে। গতরাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে লেক থানা।
পুলিশ সূত্র জানায়, আজ তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৫ তারিখ পর্যন্ত জেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। লালবাজার সূত্রের খবর, এর মাঝেই হবে অভিযুক্তের টিআই প্যারেড। সেখানে ডাকা হবে অভিযোগকারীদের। তাদের দিয়েই বিকাশকে শনাক্ত করা হবে।
সূত্র: ইটিভি ভারত