প্রিয়া সাহার অভিযোগ মিথ্যা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্কঃ প্রিয়া সাহা কেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন সরকার তা খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। শুক্রবার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানান। এদিকে একই দিনে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারও ওই অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় একাধিকবার ভরা হাউসে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সেখানে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা রানা দাশ গুপ্তও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু প্রিয়া সাহা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে যেসব অভিযোগ ও প্রশ্ন করেছেন, তেমন প্রশ্নের মুখোমুখি তিনি হননি কখনও।
শাহারিয়ার আলম লিখেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানেন তার কাছে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। দেশটির প্রশাসন তাদের ঢাকা দূতাবাসের মাধ্যমেই প্রতিনিয়ত তথ্য পেয়ে থাকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার সমালোচনা করছেন অনেকেই। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, প্রিয়া সাহার সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সমালোচনা করছেন। যা ঠিক নয়। যেমন ঠিক নয় প্রিয়া সাহার অভিযোগ। সমাজের সব স্তরে যার বিচরণ এবং সরকারের বিভিন্ন মহলের সাথে যার যোগাযোগ, তার এইরকম আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। অনেকেই ব্যক্তি স্বার্থে বা না বুঝে দেশের ক্ষতি করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও অভিযোগটি নাকচ করেছেন : ঢাকা নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারও প্রিয়া সাহার অভিযোগটি নাকচ করেছেন। প্রেসিডেন্টের কাছে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা সঠিব নয় বলেও মনে করেন তিনি। শুক্রবার রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেছেন।
রবার্ট মিলারকে বিহারে স্বাগত জানান বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা। তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মিলার বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখেন তারা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশি নারী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয়।