সব

বাংলাদেশ রাষ্ট্রে শক্রদের আর বাড়তে দেওয়া যাবে না – মোস্তাফা জব্বার

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Saturday 24th August 2019at 10:54 pm
54 Views

স্টাফ রিপোর্টারঃ  ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যারা বিরোধীতা করেছে, যারা ১৫ আগস্টের নৃশংস ঘটনাঘটিয়েছে তারাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।এই অপশক্তি দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে বাংলাদেশকে  মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক এবংনৈরাজ্য সৃষ্টিকারী অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চায়, বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়। তিনি হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের এই শক্রদের র আর বাড়তে দেওয়া যাবে না।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিটিআরসি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিটিআরসি আয়োজিত অনুষ্ঠানেপ্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পৃথিবীর ইতিহাসে একজন বিরল মানুষ আখ্যায়িত করে ইতিহাসের প্রেক্ষাপট তুলেধরেন। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে যে জাতি রাষ্ট্রগুলো তৈরি হয়েছে তার প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে জাতির পিতা, কায়েদেআজম কিংবা জাতির জনক এই সব বলা হয়ে থাকে।  কিন্তু বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সাথে তাদের পার্থক্য অনেক। তিনি বলেন, তাদের সাথেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পার্থক্য হচ্ছে হাজার বছর বাঙালি পরাজিত ছিল- পরাধীন ছিল। যে জাতির অস্তিত্ব নানাভাবে নানা সময়ে বিকৃতকরে উপস্থাপন করা হয়েছিল, নানা পরিচয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু সেই জাতিটাকে সুদীর্ঘ সময় জুড়ে সমন্বিত করে,  তাদের একত্রিত করেএকটি স্বাধীন রাষ্ট্র তিনি করে দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রত্যেকে জীবনে অনুসরণ করার জন্য আদর্শ মানুষ খুঁজি। আদর্শ খুঁজতে হলে, কাউকেঅনুসরণ করতে হলে তিনি একজন শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু তার মানুষকে যেমন ভালবাসতেন এদেশের মানুষও তাঁকে ভালবেসেছেন। দীর্ঘনয় মাসের যুদ্ধে বাংলার এমন কোন বাড়ী ছিল না যখন আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বলেছি মা আমরা খাই নাই, এমন কোন মা ছিল না যে মা তাঁর নিজেরখাবার আমাদের খেতে দেয় নাই। আমার মাসহ  এই বাংলার হাজার হাজার মাকে জানি, যে মায়েরা বঙ্গবন্ধুর জন্য ৯ মাস রোজা রেখেছেন বলেউল্লেখ করেন জনাব মোস্তাফা জব্বার।

 টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী , আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তরের জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণের দরকার, তার ভিত্তি বঙ্গবন্ধু রচনা করে গেছেন উল্লেখ করে বলেন, যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধ দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করে ছিলেন। আন্তর্জাতিক কানেক্টটিভিটিরপ্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি ১৯৭৩ সালে বৈশি^ক টেলিকম সংস্থা আইটিইউ এর সদস্যপদ অর্জন এবং বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভ’-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার হার শতকরা ২০ ভাগ থেকে আজ ৭৩ উন্নীত হয়েছে।

 দেশে নারী শিক্ষা শতকরা শূন্য ভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন শতকরা ৫৩ ভাগ নারী শিক্ষার্থী অন্তভ’ক্ত হয়েছে। পঁচাত্তরের পর থেকে একটানাদীর্ঘ একুশ বছর বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর জন্য যারা সক্রিয় ছিল তাদের দিন এখনো শেষ হয়নি। তারা ছদ্মবেশে  বেশে সুযোগেরঅপেক্ষায় ঘাপটি মেরে বসে আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ  শব্দের সমার্থক শব্দ বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ নামের সমার্থক শব্দ  শেখ হাসিনা। এই দুটি নাম এক সাথে মিলেগেছে। এই দুইয়ের মিলিত স্রোত ধারা  পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,  ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছেবঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।  সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আমাদের হাতিয়ার হচ্ছে ডিজিটাল প্রযু্ক্তি।


সর্বশেষ খবর