সব

শেরপুরের গৃহপরিচারিকার বাড়িতে নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Saturday 24th August 2019at 11:10 pm
53 Views

ফারুক হোসেন (শেরপুর)প্রতিনিধি : স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে গৃহপরিচারিকার গ্রামের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা।

২৩ আগস্ট শুক্রবার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া কাচারি মসজিদ সংলগ্ন গৃহপরিচারিকা টুনির বাবা আক্কাছ আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তূজা।
এদিকে মাশরাফির আগমনে এলাকায় হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি প্রথমদিকে গোপন থাকলেও শেষ পর্যন্ত মাশরাফির আগমনের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। ফলে লোকজনের ভিড় সামলাতে মাত্র দুই ঘণ্টা অবস্থানের পর যোগানিয়া ছাড়তে হয় তাকে।

স্থানীয়রা জানান, এবারের কোরবানির ঈদ মাশরাফির বাসাতে কাটলেও পরে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসার ইচ্ছে ছিল গৃহপরিচারিকা টুনির। গৃহপরিচারিকার এ ইচ্ছা পূরণ করতে কেবল টুনিকে না পাঠিয়ে নিজের পরিবারের লোকজন নিয়েই টুনিদের গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন মাশরাফি বিন মর্তূজা। শুক্রবার ঢাকা থেকে বের হয়ে পথে জুমার নামাজ আদায় করেন মাশরাফি। এরপর প্রায় দেড়টার দিকে দুটি গাড়ি নিয়ে টুনিকে নিয়ে তাদের বাড়িতে স্বপরিবারে হাজির হন মাশরাফি। মাশরাফির আগমনের বিষয়টি টুনির বাবা-মা জানলেও তারা কাউকে কিছু জানাননি। কিন্তু যোগানিয়া কাচারি মসজিদ সংলগ্ন টুনিদের বাড়িতে পৌঁছানোর পর এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থকরা মুহূর্তেই ওই বাড়িতে হুমড়ি খেয়ে পড়তে থাকে। তারা মাশরাফির সঙ্গে সেলফি তুলতে ও তার অটোগ্রাফ নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
এদিকে, জনতার ভিড় সামলাতে এবং গরমের কারণে দ্রুত পরিবারের সবাইকে নিয়ে আগমনের প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যেই বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিদায় নেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার পরিবার।
সূত্র জানায়, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় একটি হাউজিং অ্যাপার্টমেন্টে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে চাকরির সময় মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে পরিচয় হয় আক্কাছ আলীর। ওই অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন মাশরাফি ও তার পরিবার। ওই পরিচয় সূত্রে প্রায় ৮ বছর অগে হতদরিদ্র আক্কাছ আলীর মেয়ে টুনিকে তার বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ দেন। বয়স আর শারীরিক অসুস্থতার কারণে আক্কাছ আলী সেখান থেকে বিদায় নিলেও মাশরাফির বাসাতেই রয়ে যায় টুনি। দীর্ঘ ৮ বছরে মাশরাফির স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে টুনির নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে।


সর্বশেষ খবর