পথে দেখা বেহায়াপনা
কোরবান আলী সাগর: আমি আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য,বাসে প্রচুর ভিড় রাস্তায় খুব জ্যাম,প্রচুর গরম পরছে ।রাত ১১.৩০,এত মানুষ,এত ভিড়,এত যানজট অবাক না হয়ে পারলাম না। তবুও তো বাসায় যেতেই হবে।
খুব ভিড়ের মাঝে চাপাচাপি করে বাসে উঠলাম।গরমে খুব অস্থির,মনে হাজারও চিন্তা,যানজটে ভরা রাস্তা,গাড়ীর হর্নের বিকট শব্দ,ঠাসাঠসি করা দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের গায়ের ঘামের গন্ধ ।
এক বিরক্তিকর পরিস্থিতি ।হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে বাসের পিছন থেকে হট্টগোল ।কন্ডাক্টরের সাথে এমনতো প্রায়ই হয়,বাড়তি ভাড়া নিয়ে ।
এ কোন নতুন ঘটনা নয়।
যেখানে দ্রব্য মুল্যের লাগামহীন উর্ধগতি সবার নাভিশ্বাষ।পিছনে কি হচ্ছে আমি একটু মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করি।
বিষয়টি অন্যরকম পিছনে উঠেছে কয়েকজন ছাত্র নামধারী যাত্রী। ওরা অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইছে কিন্তু কন্ডাক্টর নিতে নারাজ।
এরই মধ্যে একজন ছাত্র কন্ডাক্টরকে অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়। তখনও মহিলা সহ বিভিন্ন বয়সের যাত্রীরা নিরব দর্শক।
একজন ছাত্রের মুখে এমন অশ্লীল ভাষা শুনে সবাই মর্মাহত ।
জ্যামের কারনে বাসটি দাড়িয়ে আছে অনেকেই কিছু বলব বলব বলেও বলছে না কারন ওরা তো ছাত্র। কন্ডাক্টরই অত্যান্ত ভদ্র ও মার্জিত ভাষায় ছাত্রদের বলছে আপনারা তো দেশের উন্নয়নের চাকা আপনাদের মুখ থেকে যদি সামান্ন টাকার জন্য এমন অশ্লীল কথা শুনতে হয়,এতে করে পরবর্তী প্রজন্ম কি শিক্ষা নিবে ?
অন্য ছাত্রটি অতিরিক্ত কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু যাত্রীরা থামিয়ে দেয় । পুনরায় কন্ডাক্টর নরম শুরে বলে ছাত্রদের সহযোগিতার জন্য বাসে একটা নিয়ম আছে মানি,কিন্তু আপনাদের অন্যান্ন প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন বই-খাতা, কাগজ-কলম,পোষাক,মোবাইল ফোন যখন কিনতে যান তখন কি বলেন ? অর্ধেক টাকা রাখেন ।
এতক্ষণ কন্ডাক্টরের কথা সব যাত্রী মনযোগ দিয়ে শুনছেন । ভীরের ভিতর থেকে একজন বয়স্ক লোক আরও বলল কন্ডাক্টর তো ঠিকই বলছে, আজকালের ছাত্ররা স্কুলের গন্ডি পেড়িয়ে কলেজে পা রেখেই সিগারেট ও অন্যান্ন মাদক দ্রব্যের প্রতি আষক্ত হয়ে যায় ।
আপনারা কি কখনোও শুনেছেন ঐ সিগারেটের দাম নিয়ে কোন ছাত্র দোকানির সাথে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেছে । কন্ডাক্টর ঐ লোকটিকে থামিয়ে দিয়ে বলল যত গণ্ডগোল কেবল বাসের ভাড়ার বেপারে । ততক্ষনে বাস আমার গন্তব্যে পৌঁছে গেছে ।
আমি নেমে পরলাম কিন্তু তখনও কন্ডাক্টরের কথা গুলো কানে বাজতে থাকে । আসলে যে যেই পেশায়ই থাকুক না কেন তাকে তার সম্মান টুকু দেওয়া উচিৎ।