মুক্তিযোদ্ধার আদলে সেজেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বাঘবেড় সঃ প্রাঃ বিঃ
ফারুক হোসেন (শেরপুর)প্রতিনিধি :শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামে অবস্থিত বাঘবেড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরকারের স্কুল উন্নয়ন বাজেটে স্কুলের নানাবিদ উন্নয়ন আর মহান মুক্তিযোদ্ধার নানা স্মৃতি বিজরিত ঘটনা স্ববলিত ডিজাইনে বিদ্যালয়টিকে সাজিয়েছেন মনের মতো করে। এমন সজ্জিতকরন ক্লাস রোমে গ্রামের চারিদিক থেকে প্রাকৃতিক বাতাস ও ২২টি ইলেকট্রিক ফ্যান সমৃদ্ধ ক্লাশ রুম আর পরিস্কার পরিচ্ছনতার ফলে বিদ্যালয় মুখি হচ্ছে গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে, ১৯৩৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালিন সময়ে এলাকাসীর সহযোগিতায় একটি দুচালা ছোট্ট টিনের ঘর দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকেই স্কুলটির প্রতি এলাকাবাসীর সহযোগিতা ছিল। হাফ বিল্ডিং পরে পাশেই পশ্চিমে আরেকটি দুতলা সুন্দর পরিপাটি বিল্ডিং স্থাপিত হয়। বিদালয়ের জমি মোট ১ একর ৩৯ শতাংশ। রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ। এখন সরকারের নানামুখি উন্নয়নের স্কুলটির আমুল পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে ৭ জন শিক্ষক নিয়ে একটানা সকাল হতে বিকেল পর্যন্ত বিরতীহীন ক্লাশের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান কার্যক্রম চলছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সার্বিক তত্বাবধানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বরাদ্ধকৃত অর্থে মাইনর মেরামত কার্য সম্পাদনের অংশ হিসাবে সম্প্রতি বিদ্যায়লটিতে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। রয়েছে মাল্টি মিডিয়া ক্লাশ রোম। নন্দিত করে সাজানো হয়েছে বিদ্যালয়ে মহান মুক্তিযোদ্ধা কর্নার। টয়লেট ও ওয়াস রোম, লুকেটর বোর্ড স্থাপন, স্কেচ ম্যাপ, সচিব কর্তৃক নির্দেশনা চার্ট, হোয়াইট বোর্ড, সিটিজেন চার্টার, চেয়ার, ফ্যান ক্রয়, বেঞ্চ, দরজা, আলমারি মেরামত, ফুটবল, ড্রেস ক্রয়, ছাদ ঢালাই, চারিদিকে ওয়েদার কোর্ট দেওয়াল রং, বিশিুদ্ধ পানির ব্যবস্থা সিকিউরিটি ওয়াল রং করাসহ নানাবিদ কার্য সম্পাদন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠে মাটিও ভরাটের কাজও চলছে।
এব্যাপারে বাঘবেড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, শিশুদের জন্য আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে সারা দেশে যেভাবে পড়াশুনা হয় সেভাবেই বিদ্যালয়কে সাজানো হয়েছে। আমরা সেই ভাবেই গ্রামেও এটি করার আশা করছি। সরকারের ব্যাপক ভিত্তিক এই উন্নয়ন কাজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই শিক্ষা বান্ধব পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এই সজ্জিত করনে বিদ্যালয়ে এখন শিক্ষর্থীদের উপস্থিতিও ও শিক্ষার মান দুটোই বেড়েছে। একই সাথে এই স্কুল মাঠটিতে মাটি ভরাট করতে হবে। একটি আধুনিক ওয়াস ব্লক নির্মান করতে হবে এবং মাঠের বাউন্ডারি থাকা সত্বেও দু পাশে দুটি গেইট করা সম্বভ হয়নি। এটা জরুরী ভাবে নির্মান করা প্রয়োজন।