আমেরিকানদের সমালোচনায় দুই শীর্ষ নেতা
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই, গণমাধ্যমের স্বধীনতা নেই, দেশের বিরোধীদলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নাকি অত্যাচার নির্যাতন চালানো হচ্ছে আমেরিকানদের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করলেন আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ এবং মতিচৌধুরী।
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, কয়েকদিন ধরেই একটা কথা শুনছি যে বিদেশীরা বলে বেড়াচ্ছে আমাদের দেশে নাকি মানবাধিকার নেই, গণমাধ্যমের স্বধীনতা নেই, দেশের বিরোধীদলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নাকি অত্যাচার নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
আজ সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত ‘১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভার’ বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিদেশিদের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে যখন চরম বর্বরতা চলছিল তখন কোথায় ছিল আমেরিকানদের মানবাধিকার। যখন শেখ হাসিনার সমাবেশে বোমা হামলা হয়, জেমবি’রা বোমা হামলা চালায়, সিলেটে বোমা হামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রীকে যখন হত্যা করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল তাদের মানবাধিকার।
তিনি বলেন, তখনকার আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিল, এটা পাকিস্তানের নিজেরদের বিষয়। তখন তারা মানবতার কথা বলেনি।
আমেরিকানদের সমালোচনা করে বানিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশে দেশে যারা মানবাধিকার লংঘন করে তারাই মানবাধিকারের কথা বলে।
বিএনপি একের একের যখন হরতাল দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তখন কোথায় ছিল আমেরিকানদের মানবাধিকার। বিদেশীরা শুধু আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা ম্লান এবং অগ্রগতি বাধাপগ্রস্থ করার এসব কাজ করে যাচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে লেডি লাদেন বললেন মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, এই লেডি লঅদেন অবরোধ হরতাল দিয়ে একের পর এক মানুষ হত্যা করেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া এখন যেমন মানুষ হত্যা করছেন, তেদমনি তার স্বামী মেজর জিয়াও সামরিক বাহিনীর লোকদের ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করেছে। এক হাতে খাবার খেয়ে আরেক হাতে ফাঁসির রায় দিয়েছে মেজর জিয়া। আমরা তখন জেল খানায় বন্দী।