সব

‘স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র চলতে পারে না’

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Saturday 5th December 2015at 10:21 pm
28 Views

16স্টাফ রিপোর্টার ঃ প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র চলতে পারে না। সরকারও এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। বর্তমান সময়ে এসে সংবাদ প্রকাশে কোনো সরকারই বাধা দিতে পারে না। গণমাধ্যম নানা উপায়ে সে সংবাদ জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়। আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শুধুমাত্র সরকারের দিক থেকেই বাধাগ্রস্ত হয় না। এক্ষেত্রে সম্পাদকদের ওপর মিডিয়ার কর্পোরেট মালিকদের খবরদারির বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখার সময় এসেছে।

আজ শনিবার আগামী ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে টিআইবির ধানমণ্ডির কার্যালয়ে আয়োজিত ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রতিযোগিতা ২০১৫’-এর পুরস্কার বিতরণ এবং ‘গণমাধ্যম ও সুশাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. আকবর আলী খান। টিআইবির নির্বাহি পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। আলোচনায় অংশ নেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, এমআরডিআই’র নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর প্রমুখ।
ড. গওহর রিজভী বলেন, গত ১০ বছরে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অসাধারণ উন্নতি হয়েছে। অনুসন্ধানের ফলে অনেক দুর্নীতি, খারাপ কাজ উঠে আসছে। সব সরকারই গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ (ইন্টার ফেয়ার) করেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই প্রয়োজন। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের সামাজিক মূল্য অনেক। এটা একটি ফাউন্ডেশন। এর ওপর ভিত্তি করে সভ্যতা গড়ে উঠেছে। তাই এর ওপর হাত দেয়া ঠিক হবে না, বন্ধ করে দেয়া উচিত হবে না। সভাপতির বক্তব্যে ড. আকবর আলি খান বলেন, অনেক দুর্বলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যে অর্জন তা গর্ব করার মত। বাংলাদেশে সুশাসনের সমস্যা আরো অনেক গভীর। বিশেষ করে বিশ্বে সুশাসনের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক নিচের দিকে হলেও এদেশের গণমাধ্যমের অর্জন প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হলো এমন একটি দেশ যেখানে দুর্নীতি করার পরও কাজ হয় না। সব জায়গায় দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে।

এদেশে দুর্নীতি করলে বিচার হয় না। এ কারণে দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতি করতে ভয় পায় না। দুর্নীতির সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয় ঠিকই, তবে যা হয় খুবই নগন্য। এদেশে শুধু বেআইনী নয়, আইনী কাজ করার জন্যও ঘুষ দিতে হয়। অনুষ্ঠানে এ বছর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন সেলের সম্পাদক মিজান মালিক এবং নিজস্ব প্রতিবেদক সাজ্জাদ পারভেজ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নিজস্ব প্রতিবেদক জি এম মোস্তাফিজুল আলমকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া সাহসিকতার সাথে ভিডিওচিত্র ধারন করায় ক্যামেরাপারস কাজী মোহাম্মদ ইসমাইল ও জাহাঙ্গীর আলম রতন পুরস্কার পান। বিজয়ী সাংবাদিকদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও একলাখ টাকার চেক এবং দুজন ভিডিও চিত্রগ্রাহকের প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়।


সর্বশেষ খবর