সব

বিরোধী নেতা-কর্মীরা বেশি নির্যাতনের শিকার

AUTHOR: Primenews24bd Desk
POSTED: Thursday 10th December 2015at 3:08 pm
24 Views

15স্টাফ রিপোর্টার ঃ ‘আমাদের অধিকার, আমাদের স্বাধীনতা সব সময়’ স্লোগান নিয়ে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে আটকে রেখে নির্যাতন এবং নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ শোনা যায়। তবে এর বেশিরভাগ শিকার হন বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা।
বিএনপি ছাত্র সংগঠনের নেতা জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহীনির লোক আমাকে ধরে নিয়ে অফিসারের রুমে নিয়ে গিয়ে মেরে অজ্ঞান করে ফেলে। আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি পাঁচ দিন উপর হয়ে শুয়ে ছিলাম, আমি যে বসব এরকম কোন পরিস্থিতি আমার ছিল না। ঐ সময়টাতে আমাকে সঠিকভাবে খাবারও দেওয়া হত না। আমি বার বার তাদের কাছে ঔষধ চেয়েছি তারা আমাকে তাও দেয় নাই। পাঁচ দিন পরে যখন আমি একটু সুস্থ হয় তখন আমাকে বলা হয় ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দিতে হবে’। অনেক দিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহীনিগুলোর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলেও এ ধরনের ঘটনা কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না? এসব বিষয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, মানবাধিকার একটি বহুমাত্রিক ধারণা। সেই বহুমাত্রিকতাকে ধারণ করতে হলে আমাদের বলতে হবে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আমরা বেশ ভাল অবস্থানে আছি। এখানে অনেক প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আমরা অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি যা আমাদের চিন্তিত না করে পারে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে অনেক নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে এবং অনেককে তুলে নিয়ে আটকে রাখা, দীর্ঘ দিন আটকে রেখে বিভিন্ন মামলায় হাজির দেখানো এমনকি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটছে এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশন কতটা অবস্থান নিতে পেরেছে এ প্রসঙ্গে ড. মিজানুর রহমান বলেন, এই ধরনের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে আছে। আমাদের কমিশনে এই ধরনের অনেক অভিযোগ পেয়েছি।
আমাদের আইন অনুসারে যখনই আমরা এ ধরনের অভিযোগ পাই তখন আমরা সুনির্দিষ্ট সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে পত্র প্রেরণ করি। এবং দাবি করি কোন পর্যায়ে একটি নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে ঘটনার তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন মানবাধিকার কমিশনে দাখিল করবার জন্যে যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে মানবাধিকার কমিশন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
এই খানে বলা দরকার আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যেই ধরনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে থাকি দুঃখজনক হলেও সত্য প্রত্যাশিত সহযোগিতা আমরা পাই না। কেননা বিশেষ করে যে অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছেন এই সব অভিযোগের ক্ষেত্রে আমাদের এমনও অভিজ্ঞতা রয়েছে যেটা খুবই কষ্টের অভিজ্ঞতা। যেমন এক বছর, দুই বছর এমন কি তার চেয়ে বেশি হয়তো কিছু কিছু অভিযোগের ক্ষেত্রে তাগিত দিয়েই যাচ্ছি কিন্তু নানা অজুহাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট কোন প্রতিবেদন দাখিল করছেন না।
কোন পরিবর্তনের আশা আছে কীনা এর উত্তরে ড. মিজানুর রহমান বলেন, পরিবর্তনের আশা আমি সেখানে দেখি এখন রাজনৈতিক দলগুলো বুঝতে পেরেছে যে কারণে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক ক্ষেত্রে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েছিল। যে সমস্ত কারণে বা অজুহাতে অনেক নাগরিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে তাদের নিজেরমত করে ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলো অতীত ভূলগুলো বুঝতে পেরেছে। রাজনৈতিক সিধান্ত এবং দৃঢ়তার মাধ্যমে এই ধরনের পরিস্থিতি অবশ্যই উত্তোরণ করা সম্ভব!

‘আমাদের অধিকার, আমাদের স্বাধীনতা সব সময়’ স্লোগান নিয়ে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা সময়ে আটকে রেখে নির্যাতন এবং নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ শোনা যায়। তবেএর বেশিরভাগ শিকার হন বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা।
বিএনপি ছাত্র সংগঠনের নেতা জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহীনির লোক আমাকে ধরে নিয়ে অফিসারের রুমে নিয়ে গিয়ে মেরে অজ্ঞান করে ফেলে। আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি পাঁচ দিন উপর হয়ে শুয়ে ছিলাম, আমি যে বসব এরকম কোন পরিস্থিতি আমার ছিল না। ঐ সময়টাতে আমাকে সঠিকভাবে খাবারও দেওয়া হত না। আমি বার বার তাদের কাছে ঔষধ চেয়েছি তারা আমাকে তাও দেয় নাই। পাঁচ দিন পরে যখন আমি একটু সুস্থ হয় তখন আমাকে বলা হয় ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি দিতে হবে’।
অনেক দিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহীনিগুলোর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলেও এ ধরনের ঘটনা কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না? এসব বিষয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, মানবাধিকার একটি বহুমাত্রিক ধারণা। সেই বহুমাত্রিকতাকে ধারণ করতে হলে আমাদের বলতে হবে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আমরা বেশ ভাল অবস্থানে আছি। এখানে অনেক প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আমরা অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি যা আমাদের চিন্তিত না করে পারে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে অনেক নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে এবং অনেককে তুলে নিয়ে আটকে রাখা, দীর্ঘ দিন আটকে রেখে বিভিন্ন মামলায় হাজির দেখানো এমনকি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটছে এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশন কতটা অবস্থান নিতে পেরেছে এ প্রসঙ্গে ড. মিজানুর রহমান বলেন, এই ধরনের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে আছে। আমাদের কমিশনে এই ধরনের অনেক অভিযোগ পেয়েছি।
আমাদের আইন অনুসারে যখনই আমরা এ ধরনের অভিযোগ পাই তখন আমরা সুনির্দিষ্ট সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে পত্র প্রেরণ করি। এবং দাবি করি কোন পর্যায়ে একটি নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে ঘটনার তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন মানবাধিকার কমিশনে দাখিল করবার জন্যে যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে মানবাধিকার কমিশন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
এই খানে বলা দরকার আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যেই ধরনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে থাকি দুঃখজনক হলেও সত্য প্রত্যাশিত সহযোগিতা আমরা পাই না। কেননা বিশেষ করে যে অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছেন এই সব অভিযোগের ক্ষেত্রে আমাদের এমনও অভিজ্ঞতা রয়েছে যেটা খুবই কষ্টের অভিজ্ঞতা। যেমন এক বছর, দুই বছর এমন কি তার চেয়ে বেশি হয়তো কিছু কিছু অভিযোগের ক্ষেত্রে তাগিত দিয়েই যাচ্ছি কিন্তু নানা অজুহাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট কোন প্রতিবেদন দাখিল করছেন না।
কোন পরিবর্তনের আশা আছে কীনা এর উত্তরে ড. মিজানুর রহমান বলেন, পরিবর্তনের আশা আমি সেখানে দেখি এখন রাজনৈতিক দলগুলো বুঝতে পেরেছে যে কারণে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক ক্ষেত্রে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েছিল। যে সমস্ত কারণে বা অজুহাতে অনেক নাগরিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে তাদের নিজেরমত করে ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলো অতীত ভূলগুলো বুঝতে পেরেছে। রাজনৈতিক সিধান্ত এবং দৃঢ়তার মাধ্যমে এই ধরনের পরিস্থিতি অবশ্যই উত্তোরণ করা সম্ভব!


সর্বশেষ খবর