হিলি স্থলবন্দরে আদা ও রসুন আমদানি বেড়েছে
মোঃ সোহেল রানা, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাড়ছে ভারত থেকে আদা ও রসুন আমদানি। রমজানে বাড়তি চাহিদা থাকায় মসলাজাতীয় পণ্য দুটির আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পর্যাপ্ত আমদানির প্রভাবে বাজারে আদা ও রসুনের দাম সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১১টি ট্রাক আমদানি হয় ১৮৬ টন আদা। একইভাবে ফেব্রুয়ারিতে ১৪টি ট্রাকে ২৫১ টন, মার্চে ১২টি ট্রাকে ১৯৩ টন, এপ্রিলে ১৫টি ট্রাকে ২৪১ টন ও মে মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত ১৭টি ট্রাকে ২৭৮ টন আদা আমদানি হয়। বছরের প্রথম পাঁচ মাসে বন্দর দিয়ে আদা আমদানির পরিমাণ ১ হাজার ১৪৯ টন।
২০১৬ সালের প্রথম পাঁচ মাসে বন্দর দিয়ে মাত্র ৪৮ টন আদা আমদানি হয়েছিল। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আদা আমদানি বেড়েছে ১ হাজার ১০০ টন। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ বন্দর দিয়ে নয়টি ট্রাকে ১৫০ টন রসুন আমদানি হয়। একইভাবে ফেব্রুয়ারিতে তিনটি ট্রাকে ১৮ টন, এপ্রিলে ১৩টি ট্রাকে ২৪৫ ও ২৭ মে পর্যন্ত ১১টি ট্রাকে ২৩২ টন রসুন আমদানি হয়।
অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রসুন আমদানির পরিমাণ ৬৪৫ টন। ২০১৬ সালের প্রথম পাঁচ মাসে আমদানি হয়েছিল মাত্র ৩১ টন রসুন। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রসুন আমদানি বেড়েছে ৬১৪ টন।
আমদানি বৃদ্ধি সম্পর্কে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশীদ জানান, দেশের চাহিদার সিংহভাগ রসুন ইন্দোনেশিয়া ও চীন থেকে আমদানি হয়। এ কারণে আগে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তেমনভাবে পণ্যটি আমদানি হতো না। রসুনের মতো আদাও তেমন আমদানি হতো না এ বন্দর দিয়ে। তবে কয়েক মাস ধরে দেশে বাড়তি চাহিদার প্রভাবে স্থলবন্দর দিয়ে রসুন আমদানি শুরু হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ভারত থেকে প্রতি টন আদা ও রসুন মানভেদে ৫০০-৫৫০ ডলারের মধ্যে কেনা হয়। আমদানি শুল্ক পরিশোধের পর প্রতি টন আদার দাম পড়ে ৭০০ ডলার। আর রসুনের দাম পড়ছে প্রায় ৯০০ ডলার।