দুর্নীতির অভিযোগ; মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ সরকারি অর্থ ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে নেয়ার অভিযোগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সেদেশের দুর্নীতি দমন বিষয়ক কর্মকর্তারা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে, তিনি ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ (১এমডিবি) তাহবিলের ২৬০ কোটি রিঙ্গিত নিজের একাউন্টে নিয়েছেন। এ জন্য তার পদত্যাগ দাবিও করা হয়েছে। এনিয়ে কয়েক মাস ধরে সেখানকার রাজনীতিতে চলছে উত্তেজনা। মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন বিষয়ক কমিশন তাকে আড়াই ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নাজিব রাজাক তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা প্রথম নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই অভিযোগ প্রকাশ করে। এরপর অনেক ঘটনা ঘটে। তবে এ অভিযোগ তদন্তের জন্য সরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তারা গড়িমসি করতে থাকেন। অন্যদিকে, এত বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে তার একাউন্টে জমা হয়েছে, কি কাজে এ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দাবি করা হয়। কিন্তু নাজিব রাজাক সে ব্যাখ্যা দিতে না পারায় তার পদত্যাগ দাবি করা হয়। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার দেশটির দুর্নীতি বিরোধী কমিশন ঘোষণা দেয় যে, তারা এ বিষয়ে নাজিব রাজাককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। উল্লেখ্য, ১এমডিবি তহবিলের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ার হলেন নাজিব। বার বারই তিনি কোন অন্যায়, অর্থ নিয়ে কোন নয়ছয়ের অভিযোগ, ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে এর আগে দুর্নীতি বিরোধী কমিশন বলেছিল, মধ্যপ্রাচ্যের একজন সুবিধাভোগী ওই অর্থ রাজনৈতিক দান হিসেবে দিয়েছিলেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলে নি। সরকার অনেকবার পার্লামেন্টে এ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু তাতে বেশির ভাগ মালয়েশিয়ান সন্দিগ্ধ। তারা এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন। নাজিব রাজাক যদি সঠিক হন তাহলে তিনি কেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন না এমন প্রশ্ন তুলছেন তারা। এ অর্থ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ সুইজারল্যান্ড, হংকং ও যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোও অনুসন্ধান করছে।