‘প্রতীক ছাড়া প্রচারে তেমন ক্ষতি হবে না’
স্টাফ রিপোর্টার ঃ নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেছেন, ‘৯ ডিসেম্বর থেকে দলীয় প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালাবেন। আমি মনে করি, প্রতীক পাওয়ার আগে স্বতন্ত্র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীক ছাড়া প্রচার চালালে তাতে বিরাট কোনো ক্ষতি হবে না।’ সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আইন অনুসারে, প্রার্থীরা ভোটের ২১ দিন আগে থেকে প্রচার চালাতে পারবেন। সে হিসেবে ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রচারণা চালাতে পারবেন তারা। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ায় দল সমর্থিত প্রার্থীরা ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রতীক নিয়েই প্রচার চালাবেন। তবে প্রতীক বরাদ্দের আগে স্বতন্ত্র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক ছাড়া প্রচার চালাতে হবে।’
কেউ প্রতীক নিয়ে প্রচার চালাবেন, আর কেউ প্রতীক ছাড়া প্রচার চালাবেন, এতে ভারসাম্য থাকছে কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটাররা অনেক সজাগ। তারা ব্যক্তিকে ভোট দেবেন। পৌর নির্বাচন হচ্ছে ছোট পরিসরে, ব্যাপক এলাকা নিয়ে নয়। এলাকায় প্রার্থীদের একটা পরিচিত থাকে। এ কারণে প্রতীক ছাড়া প্রচারে খুব বেশি সমস্যা হবে বলে আমি মনে করি না। প্রতীকে হয়ত একটু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে, তবে প্রতীক ছাড়া প্রচারে বিরাট ক্ষতি হবে বলে আমার মনে হয় না। প্রতীক নিয়ে প্রচারে আইনি বাধা আছে কি না? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী, ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রচার চালানো যাবে । কে কীভাবে করবেন, এটা তারা নিজেরা ঠিক
করে নেবেন ।’ নারী কাউন্সিলরদের প্রতীক নিয়ে বিতর্ক ওঠার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসলে প্রতীকগুলো দেওয়া হয় চিহ্নিত করার জন্য, কাউকে আঘাত করার জন্য অথবা ছোট করার জন্য নয়। তারা যদি এসব প্রতীকে বিব্রত বোধ করেন, তাহলে আমরা পরবর্তী বিষয়টি ভেবে দেখব। এবার স্বাভাবিকভাবে সময়স্বল্পতার কারণে এগুলো আমরা ভেবে দেখিনি।’
এক পৌরসভায় আওয়ামী লীগের একাধিক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এক পৌরসভায় একাধিক মনোনয়নপত্র জমার অভিযোগ আসেনি। আইনে আছে, এক পৌরসভায় কোনো দলের একাধিক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র জমা দিলে, সে দলের সব মনোনয়ন বাতিল হবে। এখন মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে
জমা আছে। যদি কেউ এমন করে থাকে, তাহলে মনোনয়ন বাতিল হবে।’ ইসির বাইরের কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, এবারেই প্রথম জনবল সংকটের কারণে নির্বাচন কমিশনের বাইরে ৬১ জন কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি।